দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: মরক্কোর ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে গেছে। উদ্ধারকারীরা ধ্বংস্তূপের নিচ থেকে জীবিতদের উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ৬০ বছরের মধ্যে এটিই ছিল মরক্কোর সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। গত শুক্রবার গভীর রাতের ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,০১২ জনে। আহত হয়েছে ২,০৫৯ জন। বিপুলসংখ্যক লোক গৃহহীন হয়ে পড়েছে।

মরক্কোর বাদশাহ ষষ্ট মোহাম্মদ অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।

ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মারাক্কেশ শহর থেকে ৭১ কিলোমিটার দূরে এটলাস পর্বতমালা এলাকার ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১১ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন।

প্রথম ভূমিকম্প আঘাত হানার ১৯ মিনিট পর আবারও ৪ দশমিক ৯ মাত্রার ভূ-কম্পন অনুভূত হয়। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বেশ কিছু গ্রাম পুরোপুরি সমতল হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া রাজধানী রাবাতের পাশাপাশি কাসাব্লাঙ্কা, আগাদির এবং এসসাউইরাতেও কম্পন অনুভূত হয়।

ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঐতিহাসিক মারাকেশ অঞ্চল। এখানকার অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হযেছে। ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থ ছিল পার্বত্য গ্রাম তাফেঘাঘতে। এখানে কার্যত একটি ভবনও এখন দাঁড়িয়ে নেই। এই অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী বারবার গোত্রের লোকজন কাদা দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করত।

জাতিসংঘ বলেছে, তারা মরক্কো সরকারকে উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে প্রস্তুত। এছাড়া স্পেন, ফ্রান্স এবং ইসরায়েলসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে একই ধরনের প্রতিশ্রুতি এসেছে।