দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: মরক্কোতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৮৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি আহতের সংখ্যাও ছাড়িয়েছে আড়াই হাজার। হতাহতদের উদ্ধারসহ জীবিতদের খুঁজে বের করতে জোর তৎপরতা চলছে। 

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

গত শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১১ মিনিটে মরক্কোর মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মারাক্কেশ শহর থেকে ৭১ কিলোমিটার দূরে এটলাস পর্বতমালা এলাকার ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পে অসংখ্য বাড়ি-ঘর ধসে পড়ে, অনেক ভবনের দেয়াল ফেটে যায় এবং বহু মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন।

গত এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে মরক্কোয় আঘাত হানা সবচেয়ে বড় এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা কেবল বাড়ছেই। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৮৬২ জনে পৌঁছেছে এবং আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৬২ জনে। এ ছাড়া হতাহতদের উদ্ধারসহ জীবিতদের খুঁজে বের করতে মরক্কোর উদ্ধারকারীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে স্পেন, ব্রিটেন এবং কাতারের অনুসন্ধান দল।

রয়টার্স বলছে, ভূমিকম্পের আঘাতে টিনমেল গ্রামে প্রায় প্রতিটি ঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গ্রামবাসীদের সবাই গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা অসংখ্য মৃত পশুর দুর্গন্ধ চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে।

৫৯ বছর বয়সী মোহাম্মাদ আলহাসান জানান, ভূমিকম্পের সময় তিনি তার পরিবারের সাথে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। ভূমিকম্প শুরু হলে তার ৩১ বছর বয়সী ছেলে বাইরে পালিয়ে যায় এবং তাদের প্রতিবেশীর ছাদ ধসে পড়ায় সেখানে তিনি ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েন। সাহায্যের জন্য চিৎকার করার পর তিনি তার ছেলের খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু অবশেষে ছেলের কাছে পৌঁছালেও তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।