দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সুপারিশ করা পদ্ধতি অনুযায়ী দেশে এখন বৈদেশিক মুদ্রার নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ ২১ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১৪৮ কোটি ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলারে।

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করার পর রিজার্ভের এই অঙ্ক দাঁড়াল। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।

তিনি বলেন, রিজার্ভ থেকে জুলাই-আগস্ট সময়ের জন্য ১ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারের আমদানি দায় পরিশোধ করা হয়েছে। এরপর গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলারে।

আকু হলো এশিয়ার দেশগুলোর লেনদেন নিষ্পত্তির একটি মাধ্যম। এ সংস্থার সদস্য দেশ হলো- ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তান।

সদস্য দেশগুলো প্রতি দুই মাস পর পর আমদানি বিল পরিশোধ করে। বাংলাদেশকে জুলাই-আগস্টের আমদানি বিল বাবদ ১ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে। আইএমএফের সুপারিশ করা পদ্ধতি অনুযায়ী গেল সপ্তাহের শুরুতেও রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৩ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার, মার্চে ১ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার, মে মাসে ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার এবং জুলাই মাসে ১ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার আকুর বিল পরিশোধ করতে হয়। সর্বশেষ জুলাই-আগস্টের বিল সেপ্টেম্বরে ১ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হলো।

আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকৃত (নিট) রিজার্ভ হিসাব করতে গ্রস রিজার্ভ থেকে ৬৪০ কোটি ডলার বাদ দিয়েছে।