দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আদালতকে রাজনীতির সঙ্গে না জড়াতে রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নতুন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দায়িত্বভার গ্রহণের পর সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এই আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, রাজনৈতিকভাবে বিচার বিভাগ ব্যবহার হচ্ছে না। রাজনীতিবিদদের বলব রাজনীতি করুন, তবে বিচার বিভাগকে জড়াবেন না, পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখুন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, দেশের সব বিভাগে দুর্নীতি ক্যান্সারের মতো ছেয়ে গেছে-এটি থেকে মুক্ত করা বড় চ্যালেঞ্জ।

আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতি মিলে যদি একসঙ্গে উদ্যোগ নেই তাহলে বিচারাঙ্গনের দুর্নীতি অপসারণ করা কঠিন কোনো কাজ হবে না। দুর্নীতি নিশ্চয়ই কমবে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা সবাই জিরো টলারেন্সে বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে বিচার বিভাগ এটা আমি মনে করি না। বিচারকরা বিচারকদের কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের মতো করে। আমি শুধু একটি কথা বলবো, যারা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন, আমাদের আইনজীবী বন্ধুরা যারা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছেন- তারা রাজনীতিটা করুন কিন্তু আদালন অঙ্গনে তারা যেন সহনশীলতার পরিচয় দেন। তারা যেন একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন। তাহলে এই উত্তাপগুলো আদালতে ছড়াবে না। সমাজের রাজনৈতিক বিষয়গুলো সম্বন্ধে আমাদের মন্তব্য করা ঠিক হবে না এবং এটা আমার বিষয়ও না। আমাদের সামনে যখন বিচার আসে, কোনো একটি মামলা আসে, সেটা আমাদের এবং অধঃস্তন আদালতে নিষ্পত্তি করতে হয়।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আস্থার ঘাটতি সর্বত্রই আছে আমাদের। বিচার বিভাগের ওপরে আস্থার ঘাটতি নেই এ কথা আমি বলবো না। আমাদের ওপরে আস্থার যেটা আপনারা বলছেন, এখনো আপনার কোনো অসুবিধা হলে আপনি কোর্টেই যাবেন। আমাদের ডিসপোজালের রেট কিন্তু দিনের পর দিন বাড়ছে। মানুষের যদি আস্থাই না থাকবে, মানুষ কোর্টে আসবে কেন! আস্থা আছে বলেই মানুষ কোর্টে আসে। হ্যাঁ, তবে, আস্থা হান্ড্রেড পারসেন্ট আছে এ কথাটা আমি বলতে পারব না। এটা বলার মতো অবস্থায় আমরা নেই। যেমন আমি বলেছি, কোনো সেক্টর নেই যেটার ওপর মানুষের আস্থার কমতি হয়নি।’

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ওবায়দুল হাসানকে প্রধান বিচারপতি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তিনি দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পান ওবায়দুল হাসান।