দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক রাশিয়ান ফেডারেশন হতে জি টু জি পদ্ধতিতে ৩ (তিন) লাখ মেট্রিক টন গম ১ হাজার ৩২ কোটি ৯০ লাখ টাকায় আমাদনির অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটি ।

ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্বের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্টের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আবারো জিটুজি ভিত্তিতে রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে গম আমদানি করবে সরকার। এতে প্রতি টন গমের দাম পড়বে ৩১৩ ডলার।

আজ (বুধবার) অর্থমন্ত্রী আ হ মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের গম আমদানির প্রস্তাবটি অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ সাইদ মাহমুদ খান সাংবাদিকদের রাশিয়ান ফেডারেশ থেকে ৩ লাখ টন গম আমদানির প্রস্তাব ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রী সভা কমিটি অনুমোদন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।খাদ্য সচিব মোঃ ইসমাইল হোসেন এনডিসি স্বাক্ষরিত প্রস্তাবে বলা হয়েছে রাশিয়ান ফেডারেশনের রাজধানী মস্কোস্থ আমদানি রপ্তানি কোম্পানি প্রোডিনটর গত অগাষ্ট মাসের ১৭ তারিখ থেকে ৫ সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ঢাকা থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে কয়েক দফা বৈঠক শেষে ৩ লাখ টন গম আমদানির বিষয়টি চূড়ান্ত করেন।

রাশিয়ান ফেডারেশনের আমদানি রপ্তানি কোম্পানি প্রোডিনটর লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার তারিখ হতে ১২০ দিনের মধ্যে ৩ লাখ টন গম বাংলাদেশে পৌচ্ছে দিবে। রাশিয়ান কোম্পানি এলসি খোলা ১৫ দিনের পর পর এই কোম্পানিটি ৫০.০০০ মেট্রিক টন করে গম সরবরাহ করবে। রাশিয়ার গভীর সমুদ্র বন্দরে প্রতি টন গম খরচ ধরা হয়েছে ৩১০ ডলার। এই প্রতি টন গম বাংলাদেশের বন্দরে আসতে ২ দশমিক ৭৭ ডলার বেশি খরচ হবে। ফলে প্রতি টন মোট খরচ দাঁড়াচ্ছে ৩১৩ ডলার। খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৬ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ আগস্ট পর্যন্ত দৈনিক খাদ্যশস্য পরিস্থিতি অনুয়ায়ী গমের বর্তমান মজুত ২ লাখ ১৩ হাজার মেট্রিক টন। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সরকারি বিতরণ খাতে ৬ লাখ ৭২ হাজার মেট্রিক টন এবং নিরাপত্তা মজুদ হিসেবে ২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টনসহ মোট ৯ লাখ ২২ হাজার মেট্রিক টন গম প্রয়োজন হবে।

গত বছর অগাস্ট মাসে ডলারের মূল্য পরিশোধ করে রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে জিটুজি ভিত্তিতে ৫ লাখ টন গম আমদানি করেছে বাংলাদেশ সরকার। প্রতি টন গমের দাম পড়েছিল ৪৩০ ডলার আর ৫ লাখ টন গম আমদানিতে মোট ব্যয় হয়েছিল ২০৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।