দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:  বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এক যৌথ প্রস্তাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। প্রস্তাবে ২০২৪ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সাধারণ নাগরিক, এনজিও, মানবাধিকারকর্মী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের কাজের নিরাপদ ও অনুকূল পরিবেশ তৈরির ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। 

স্থানীয় সময় বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রস্তাবটি নিয়ে ডানপন্থি, মধ্যপন্থি ও বামপন্থি ঘরনার ছয়টি দল ও গ্রুপ পার্লামেন্ট বিতর্কে অংশ নেয়। প্রস্তাবটির শিরোনাম ছিল ‘জয়েন্ট মোশন ফর আ রেজুলেশন অন দ্য হিউম্যান রাইটস সিসুয়েশন ইন বাংলাদেশ, নোটয়েবলি দ্য কেস অব অধিকার’। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রস্তাবটি নিয়ে ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়, বাংলাদেশে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগের ঘটনা বেশ উদ্বেগজনক। বাংলাদেশকে ২০২৪ সালের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

যৌথ প্রস্তাবটিতে বলা হয়, বিচারবহির্ভূত হত্যা, জোরপূর্বক গুম, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শ্রমিকদের অধিকার খর্ব করাসহ বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। প্রস্তাবটির শিরোনামেই বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়ক এনজিও ‘অধিকারের’ বিরুদ্ধে চলমান মামলার প্রসঙ্গ টানা হয়েছে। এনজিওটির প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অতিদ্রুত প্রত্যাহার এবং তাদের নিবন্ধন পুনরায় চালু করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

‘গুমের’ অভিযোগ তদন্তে একটি বিশেষ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘকে সার্বিক সহযোগিতা করতে বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করা হয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রস্তাবটিতে। তা ছাড়া প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের আদালতের শুনানিতে অংশগ্রহণের অনুমতি দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে বলা হয়েছে।