বমাল সহ আটক চোর, ছেড়ে দিলেন নাজিরপুরের ওসি।
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক পিরোজপুরঃ
পিরোজপুরের নাজিরপুরে সরকারি চোরাই মালামাল সহ স্কুলের দপ্তরি ও ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীকে আটক করে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে, ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলার ৮ নং শ্রীরামাকঠী ইউনিয়নের স্থানীয় কালিবাড়ী নামক স্থানে। জানাযায়, ৮১ নং জয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন বেঞ্চ চুরি করে বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী গবিন্দ রায় ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী লোকমান শেখের নিকট বিক্রয় করে।
পরবর্তীতে স্থানীয় জনসাধারণ চোরাইমাল সহ ভাঙ্গারী ব্যবাসায়ী লোকমানকে হাতে নাতে ধরে নাজিরপুর থানা পুলিশকে খবর দেয়, নাজিরপুর থানার এস আই মোঃ ইয়াসির হোসেন,কিলোফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লোকমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং লোকমান শেখ জানায় আমি বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরীর নিকট থেকে উক্ত মালামাল ক্রয় করিয়াছি। পরবর্তীতে গোবিন্দ রায়কে ঘটনাস্থলে উপস্থিত করলে গোবিন্দ বিষয়টি অস্বীকার করে এড়িয়ে যায়, ঘটনাস্থলে কোন সমাধান করতে না পেরে ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী ও গোবিন্দকে থানা পুলিশ চোরাই মাল সহ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এবিষয়ে নাজিরপুর থানার এস আই মোঃ ইয়াসির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী ও বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরীকে নাজিরপুর থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদাক চঞ্চল কান্তি বিশ্বাসের জিম্মায় মুসলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হুমায়ুন কবিরকে বার বার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করছেন না।
এবিষয়ে শ্রীরামাকাঠী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ তারিকুল ইসলাম জানায়, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই স্থানীয় লোকজন ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী লোকমান শেখকে স্কুলের চোরাইকৃত বেঞ্চ সহ হাতেনাতে ধরে। পরবর্তীতে আমি বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি থানা পুলিশের সহযোগীতা নিতে বলেন আমি নাজিরপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করি তারা ঘটনাস্থলে আসে এবং জব্দকৃত চোরাই মালসহ তাদেরকে থানায় নিয়ে যায়, পরবর্তীতে কি হয়েছে আমি জানি না।
এবিষয়ে শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন বেপারী জানান, চুরি আমরা ঠেকাতে পারি না, আমার একাধিক ব্রিজের মালামাল চুরি হয়েছে, ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীরা নিজেদের মুখে স্বীকার ও করেছে তবুও চোর ধরতে পারি নাই,আজকে চোর ধরে ছেড়ে দিয়েছে এতে আমি অত্যন্ত দুঃখিত, বিয়ষটি মন্ত্রী মহোদয় ও এসপি মহোদয়কে জানাব।
এবিষয়ে অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা স্নিগ্ধা মন্ডল বলেন, আমার স্কুলে কোন প্রকার পুরাতন মালামাল নাই।
এবিষয়ে নাজিরপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিশ্বজিৎ কর্মকার জানান, আমি ঘটনাটি শুনে প্রধান শিক্ষককে ফোন দিয়েছিলাম। তিনি বলেছেন, তার বিদ্যালয়ে কোন পুরাতন মালামাল নেই, তবে ঘটনাটি যদি সত্য হয়ে থাকলে আমি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিব।
এব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার কুমারেশ গাছি জানান, থানা পুলিশ এভাবে সরকারি মালামাল চুরিকরা চোর লোকাল জিম্মায় ছেড়ে দিতে পারে না,আমি নাজিরপুর থানার ওসি সাহেবের সাথে কথা বলব, ঘটনা সত্য হলে আমরা অফিসিয়াল ভাবে মামলা করে দিব।
একেএস/এএইচ/এসকে/দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টি ফোর ডট কম।