আমির হামজা,দ্য রিপোর্ট: সিনিয়ার বাণিজ্য  সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন আমরা তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ডিউটি ফ্রি এক্সস এবং  বাংলাদেশের এলডিসি এক্সটেনশন পাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদেরকে   যুক্তরাষ্ট্রে  পূর্ণ সমর্থন  দেয়  এ বিষয়গুলো বড় দাগে চাবো। এখন  বাণিজ্য সংস্থায় বাংলাদেশের এলডিসি এক্সটেনশন মিটিং চলছে। ট্রিপস এর মার্কেট এক্সসটা নভেম্বর ২০২৬ পর যাতে  বাংলাদেশের এই প্রভিশনটা ২০৩৩ পর্যন্ত থাকে।

তিনি বলেন, প্রকাশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ছয় বছরের এলডিসি এক্সটেনশন পাওয়ার বিষয়টি বাধা দিয়ে যাচ্ছে। আর সব দেশ আমাদের পক্ষ আছে। অন্যরা অবশ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোন দিকে যায় তা দেখে আমাদের বিরুদ্বতা করবে।

এছাড়া আরও কয়েকটি ইস্যু নিয়েই বুধবার স্থানীয় হোটেলে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তির (টিকফা) সপ্তম কাউন্সিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ বৈঠকের প্রস্তুতি হিসাবে আজ সোমবার বাণিজ্য সচিবের সভাপতিত্বে বৈঠক শেষে তপন কান্তি ঘোষ এ কথা বলেন।এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে বাংলাদেশের পেট্রোবাংলা ডলার সংকটের কারণে মার্কিন জ্বালানির কোম্পানি শেভরণ পাওনা অর্থ পরিশোধ করতে পারছে। টিকফা আলোচনায় এ বিষয় নিয়ে কথা হবে

সিনিয়ার সচিব আরো বলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টিকফা বৈঠকে তো শ্রমিকদের অধিকার , ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন ট্রেড ইউনিয়ন জিক্টেশন তার মানে শ্রমিকরা ট্রেড ইউনিয়েনের জন্য দরখাস্ত করলেই সবাইকে সরকার সেই অনুমতি দিয়ে দিতে হবে।এছাড়া তিনি বলেন ডাটা প্রটেকশন এ্যাক্ট ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র অনেক ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে । কিন্তু দেশে ডাটা প্রটেকশন এ্যাক্ট এখন তো বাস্তবায়ন হয়নি । ডাটা প্রটেকশন এ্যাক্ট নিয়ে আইসিটি মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এসব আইন নিয়ে সব দেশেই ডিবেট হয়ে থাকে যেমন ইউরোপিয় ইউনিয়ে তো বছরের পর বছর ধরে এ ডিবেট চলেছে । এ ডিবেট হচ্ছে সরকার কতটুকু প্রকাশ্যে হবে কতটুকু ঢেকে রাখবো। আমরা দূর্বল বলে আমাদেরকে পশ্চিমারা চেপে ধরেছে।

তিনি বলেন, টিকফা আলোচনায় নকল পণ্য বিষয়টা থাকবে । যুক্তরাষ্ট্রেকে ইউএসটিআর প্রতিনিধিকে আমরা বলবো পণ্য নিয়ে কেউ যদি ক্ষতিগ্রস্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। আমাদের আইনের কোন ঘাটতি না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে মামলা করতে বলছে । আমরা তো এটা করতে পারি ? কেউ অভিযোগ করলেই তো তাহলেই আমরা ব্যবস্থা নিবো।সচিব বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি কমে যাচ্ছে এ নিয়ে আমাদের আলাদা কোন পদক্ষেপ নাই, তবে আমরা মাকের্ট এক্সস আর মার্কিন তুলায় তৈরি করা পোষাক রপ্তানি বিষয়টি মিটিং উপস্থাপনের সময় যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি কমে যাবার বিষয়টি আমরা উল্লেখ্য করবো" ।

তিনি শ্রমিক অধিকার নিয়ে বলেন "এক সময় ইংল্যান্ডে শ্রম অবস্থা আরো বেশি খারাপ ছিল । এ অঞ্চলে আমাদের তরুণ ছেলে পেলেরা এই যে সূর্ষ সেন থেকে এ অঞ্চলের সব বিল্পবীদের গুলি করে ইংল্যান্ডের লোকজন মেরেছে। জালিয়াদাবাগে ১০০০ মানুষকে গুলো করে মেরেছে । তারাই তো আমাদের শ্রম অধিকার শিখাচ্ছে। ইউকে তারাই তো আমাদের চেপে ধরেছে । ওরা বলবে আমাদের শ্রমিক ইসুতে আরো উন্নতি করতে হবে ।তিনি জিএসপি সুবিধা নিয়ে বলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কখনই বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা দিবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কিন্তু আমাদের চেয়ে নিতে হবে ।