ধানমন্ডি সিকিউরিটিজসহ তিন কর্মকর্তাকে ৯ লাখ টাকা জরিমানা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজ ধানমন্ডি সিকিউরিটিজ লিমিটেডকে (ট্রেক নম্বর-৯৮) ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
একইসঙ্গে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. আরিফ ইসলাম খানকে ২ লাখ টাকা এবং হেড অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টাস মো. কবিরুল ইসলাম ও আইটি ইনচার্জ মো. রুবেল হোসেন সজিবকে এক লাখ টাকা করে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ফলে ধানমন্ডি সিকিউরিটিজ এবং তাদের তিন কর্মকর্তাকে মোট ৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছে কমিশন।
সম্প্রতি বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ধানমন্ডি সিকিউরিটিজ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন কার্যক্রম চলাকালে স্টক এক্সচেঞ্জের চাহিদা মোতাবেক প্রযোজনীয় তথ্য, ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড ও দলিলাদি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সরবরাহ করতে পারেনি। প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন দলের কাছে অসত্য বা মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের মার্জিন ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে যথাযথ আইন পরিপালন করেনি। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সমন্বিত গ্রাহক হিসাবেও অসঙ্গতি পেয়েছে কমিশন।
তথ্যমতে, ধানমন্ডি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) প্রবিধানমালা, ২০২০ এর বিধি ৫(খ); সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০ এর রুলস ১৭(৪); সিকিউরিটিজ অ্রান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিনেন্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৮; মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ এর রুলস ৩(১) ও ৩(২); সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিনেন্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৬(ক); সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০ এর রুলস ৬(১) ও ৬(৫); বিএসইসির ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি জারি করা নির্দেশনা; সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক-ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০ এর বিধি ১১ এবং সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক-ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০ এর দ্বিতীয় তফসিলের আচরণ বিধি ১ লঙ্ঘন করার প্রমাণ মিলেছে।
তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে ধানমন্ডি সিকিউরিটিজকে ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে কমিশন। সেই সঙ্গে উপরোক্ত সিদ্ধান্ত ব্যর্থতা অব্যাহত থাকলে, অনুরূপ অব্যাহত থাকাকালীন প্রতিদিনের জন্য ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
এদিকে, প্রতিষ্ঠানটির সিইও মো. আরিফ ইসলাম খানের বিরুদ্ধে একইভাবে মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ এর রুলস ৩(১) ও ৩(২); সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিনেন্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৬ (ক); সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০ এর রুলস ৬(১) ও ৬(৫); বিএসইসির ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি জারি করা নির্দেশনা; সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক-ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০ এর বিধি ১১ এবং সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক-ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০ এর দ্বিতীয় তফসিলের আচরণ বিধি ১ লঙ্ঘন করার প্রমাণ মিলেছে।
তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ ইসলাম খানকে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে কমিশন।
এছাড়া হেড অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টাস মো. কবিরুল ইসলামকে ৯টি এবং আইটি ইনচার্জ মো. রুবেল হোসেন সজিবকে ৩টি সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এক লাখ টাকা করে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।