দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীর পল্টনের একটি বেসরকারি ব্যাংকে ঢুকে ২০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে দুই পুলিশসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এই ঘটনায় ডিএমপির পল্টন মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলায় তাদের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে আদালতের কাছে।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকালে পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গতকাল বেলা ২টার দিকে আইএফআইসি ব্যাংকের নয়া পল্টন শাখায় এ ঘটনা ঘটে। আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে একজন ব্যবসায়ীর কর্মচারী আজিম উদ্দিন ওই ব্যাংকে ২০ লাখ টাকা জমা দিতে আসেন। তিনি টাকা জমা দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ান। এ সময় পুলিশের ইউনিফর্ম পরা দু’জন ব্যক্তি তাকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যান। পরে তার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পল্টন থানা-পুলিশ ও ডিবি’র মতিঝিল জোনাল টিম। ঘটনাস্থলে গিয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ব্যাংকের সামনের ফুটপাতের হকার হৃদয় ও তার সহযোগী মঞ্জুকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে ডেমরা পুলিশ লাইনে ক্লোজ হয়ে থাকা পুলিশের দুই কনস্টেবল মাহাবুব ও আসিফকে ১০ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার করে ডিবি। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যমতে, বাসাবো থেকে ছিনতাইয়ের আরও ১০ লাখ টাকা ও মোটরসাইকেলসহ সোহেল নামে আরেক জনকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, এই ঘটনায় পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলায় আসামিদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ছিনতাইয়ের সঙ্গে দু’জন পুলিশ কনস্টেবল জড়িত ছিল। তাদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। সিভিলে থাকা তিন ব্যক্তি টাকার বিষয়ে ওই দুই পুলিশকে তথ্য দেয়। এরপর ইউনিফর্ম পরা দুই পুলিশ কনস্টেবল ব্যাংকে ঢুকে ওই ব্যক্তিকে বাইরে নিয়ে আসে। তার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। দুই পুলিশ কনস্টেবল বরখাস্ত ছিল। এ ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা হয়েছে।

পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন মিয়া বলেন, গতকাল দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটে। এক ব্যক্তি ব্যাংকে টাকা জমা দিতে আসেন। ওইখান থেকে দুইজন পুলিশের পোশাক পরা লোক মোটরসাইকেলে ২০ লাখ ৫ হাজার টাকার ব্যাগসহ ওই ব্যক্তিকে উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং সব টাকা রেখে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মুগদা মেডিকেল কলেজের কাছে নামিয়ে দেয়। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সেখানে যাই এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত করি। এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে আমরা সব টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।