"রোডমার্চ আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের প্রাক প্রস্তুতি"
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, সরকারের পদত্যাগসহ এক দফা দাবিতে চলমান রোডমার্চ আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের প্রাক প্রস্তুতি।
বরিশালের বেলস পার্কে রোডমার্চপূর্ব আজ শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা জানান।
বরিশাল বেলস পার্ক থেকে সকাল সাড়ে ১০টায় এই রোড মার্চ শুরু হয়। রোডমার্চটি শেষ হবে ঝালকাঠি হয়ে পিরোজপুরে গিয়ে।রোড মার্চের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এবং সেলিমা রহমান।
রোর্ড মার্চে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, সাবেক বিমান বাহিনীর প্রধান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, সাবেক এমপি হারুন অর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, কেন্দ্রীয় নেতা আকন কুদ্দুসুর রহমান, মাহবুবুল হক নান্নু, কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, আবুল হোসেন, নাজিমুদ্দিন আলম, রফিকুল ইসলাম জামাল, এবাদুল হক চান, আবু নাসের মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহসভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখরা রয়েছেন।
বরিশাল বিভাগে সাংগঠনিক জেলা বরিশাল উত্তর ও দক্ষিণ জেলা এবং মহানগর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর জেলা থেকে রোডমার্চে বিপুল সংখ্যক বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল নিয়ে অংশ নিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
রোডমার্চ শুরুর পর ঝালকাঠি হয়ে পিরোজপুরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বরিশাল থেকে পিরোজপুর যাওয়ার পথে ঝালকাঠিতে দুটি পথ সভা করারও কথা। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগে, ১ অক্টোবর ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ, ৩ অক্টোবর ফরিদপুর বিভাগীয় রোডমার্চ, ৫ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রোডমার্চ করবে বিএনপি।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, "এই রোডমার্চ জনগণকে সঙ্গে নামার কাজ, এই রোডমার্চ আগামী দিনে আরও বৃহত্তর কোনো আন্দোলনের প্রস্তুতি হিসেবে হচ্ছে। মনে রাখবেন কোনো আন্দোলন বৃথা যায় না। আজকের এই রোডমার্চ আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন সফল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।"
তিনি অভিযোগ করে বলেন, "আজকে মেগা প্রকল্পের নামে দুর্নীতি করে আজকে কিছু কিছু মানুষ বড়লোক হয়েছে, কোটিপতি হয়েছে, শত শত কোটিপতি হয়েছে আর সাধারণ মানুষ শেষ হয়ে যাচ্ছে। আজকে বাংলাদেশের মানুষ একটা শিশু জন্মগ্রহণ করে এক লাখ টাকার মতো ঋণ মাথায় নিয়ে।"
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গ টেনে নজরুল ইসলাম খান বলেন, "প্রতিটি জিনিসের দাম বেশি, মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষ হালাল পথে ইনকাম করে জীবন নির্বাহ করতে পারে না।"
অভিযোগ করে তিনি বলেন, অনাচারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-যা বদল করে করা হয়েছে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা দেওয়া হয় এবং গ্রেফতার করা হয়।"