৩ অক্টোবরের মধ্যে পদত্যাগ না করলে গজব: মান্না
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আগামী ৩ অক্টোবরের মধ্যে সরকার পদত্যাগের ঘোষণা না দিলে এরপর এই সরকারের ওপরে গজব নেমে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত সমাবেশ ও পদযাত্রা কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। এই অঙ্গীকারের কোনো দাম নাই। বাবার নামে কসম কেটে সেই কথা রাখেনি- এখন কে তাকে বিশ্বাস করবে? শেষবারের মতো আপনাকে বলি, আপনার কোনো আশা পূরণ হবে না। অক্টোবরের ৩ পর্যন্ত কর্মসূচি দিয়েছি। এর মধ্যে যদি ভালো হয়ে না যান তাহলে অক্টোবরের ৩ তারিখের পর থেকে আপনাদের ওপরে গজব নামবে।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘সেলফি তোলার পর ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, বিএনপির নেতারা কাঁথা দিয়ে ঘুমিয়ে গেছে। এখন প্রধানমন্ত্রী আমেরিকায়। তিনি থাকতেই আমেরিকা দেশের অনেকের নামে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এখন আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে গিয়ে দেখেন তারা ঘর তালা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে।’
এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সরকার পুলিশ-প্রশাসন সবকিছু পকেটে ঢুকিয়ে জনগণকে ডান্ডা মেরে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতায় আছে। এত দিন বিদেশিদেরও কোনোরকম একটা সমর্থন পেয়েছিল। এখন আর সেটাও পাচ্ছেন না। খুব চিৎকার করলেন, বিরোধীরা বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। এখন প্রধানমন্ত্রী নিজেই প্রতিদিন বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন।’
সাকি বলেন, ‘সরকার বলছে এইবার সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের নেতারাও বলছে, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। তার মানে আগেরগুলোতে ভোট ডাকাতি করেছেন? এবার সুষ্ঠু হবে কারণ বিদেশিরা চাপ দিচ্ছে। একদিকে বলছে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, অন্যদিকে রাত ৮টা পর্যন্ত আদালত চালু রেখে সাক্ষ্য নিয়ে মামলা শেষ করে জেলে ঢোকানো যায় সেই ব্যবস্থা করছে।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সহসভাপতি তানিয়া রব বলেন, ‘বিদেশে ধরনা দিচ্ছেন, দেশের মানুষের কাছে যাচ্ছেন না কেন? কারণ আপনি ভোটচুরি করেছেন। এসবের জবাব আপনার দিতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘যত দিন পর্যন্ত এই জালিম সরকারকে আমরা বিদায় করতে না পারব, তত দিন রাজপথে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’