দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রতি মাসেই তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নির্ধারণ করে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। কিন্তু সরকারের নির্ধারিত দামে কোথাও এলপিজি বিক্রি হচ্ছে না। গত কয়েক মাস ধরেই ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি দিয়ে গ্রাহকদের এলপি গ্যাস কিনতে হচ্ছে।

গ্রাহকদের অভিযোগ, আগে সিলিন্ডারপ্রতি ৬০ থেকে ১০০ টাকা বেশি নেওয়া হতো। এখন তা এলাকাভেদে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি নেওয়া হচ্ছে।

এমন বাস্তবতায় ডিলারদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে এক সেমিনারে তিনি বলেন, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে এলপিজি দাম বেশি নিলে প্রয়োজনে ডিলারদের বিক্রির লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, খোঁজ নেওয়া সব জায়গায় এলপি গ্যাসের দাম ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি নেওয়ার অভিযোগ পাচ্ছি। যেকোনো মূল্যে ন্যায্য দামে এলপিজি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এখন থেকে নজরদারি বাড়ানো হবে।

নসরুল হামিদ বলেন, এলপিজির চাহিদা দিনদিন বাড়ছে। ভবিষ্যতে এটা দ্বিগুণ হবে। এজন্য যুগোপযোগী নীতিমালা জরুরি। তিনি বলেন, পাইপলাইনে গ্যাস দিতে গেলে প্রচুর পরিমাণের চোরাই লাইন তৈরি হয়েছে। ভবিষ্যতে কোথায় কিভাবে গ্যাস দেব, তার জন্য একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে।

সেমিনারে কমিশনের সদস্য ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, ড. মো. হেলাল উদ্দিন, আবুল খায়ের মো. আমিনুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নুরুল আলম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, বিইআরসির সচিব খলিলুর রহমান খানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।