এমারেল্ড অয়েল ও যমুনা এডিবল অয়েলের মধ্যে চুক্তি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ রাইস ব্র্যান অয়েল এবং কার্ড অয়েল উৎপাদন করবে। এজন্য যমুনা এডিবল অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কোম্পানিটি।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের প্রস্তুতকৃত রাইস ব্র্যান অয়েল ও ক্রুড অয়েল উৎপাদন এবং স্থানীয় ও জাপানের বাজারে বিক্রি/রপ্তানির জন্য এ চুক্তি করা হয়েছে।প্রসঙ্গত, এমারেল্ড অয়েল ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করে। দীর্ঘদিন ধরে লোকসান ও শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেওয়ায় ওই কোম্পানিকে ২০১৮ সালে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়। সর্বশেষ ২০১৬ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেওয়া হয়। এর পর কোম্পানিটির ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০২১ সালে এমারেল্ড অয়েলের ৭.৮০ শতাংশ শেয়ার কিনে মালিকানায় আসে মিনোরি বাংলাদেশ। মালিকানায় পরিবর্তন আসলেও পণ্য হিসেবে ব্র্যান্ড ‘স্পন্দন’ নামেই তেল বাজারজাত করছে কোম্পানিটি। পরীক্ষামূলক উৎপাদন সফল হওয়ায় ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে কোম্পানিটি। এর পর ওই বছরের ২৮ জুন রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে স্পন্দন রাইস ব্র্যান অয়েলের মোড়ক উন্মোচন করে এমারেল্ড অয়েল। ঋণ কেলেঙ্কারির কারণে দীর্ঘ পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পর জাপানি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান মিনোরি বাংলাদেশের নতুন মালিকানায় কোম্পানিটি আনুষ্ঠানিকভাবে ধানের কুঁড়া থেকে ভোজ্যতেল উৎপাদন ও বাজারজাত শুরু করে। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৫৯ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে ৩৮.২৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১১.১২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৫০.৬২ শতাংশ শেয়ার আছে।