রানারের কোম্পানি সচিবের অজানা অর্থের উৎস খুঁজছে দুদক
সাঈদ খান, দ্য রিপোর্ট: রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের কোম্পানি সচিব মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধেক্ষমতার অপব্যবহার করে বেতনের বাইরে বিভিন্ন উৎস থেকে অবৈধ উপায়ে অর্থ আয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক ) এই অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান শুরু করেছে। এসব অভিযোগের প্রাথমিক তথ্যও যোগাড় করেছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে,অবৈধ উপায়েঅর্জিত প্রায় ৮২ কোটিটাকা ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্ট ও নাম
সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক একাউন্টেরমাধ্যমেলেনদেন করেছেন মিজানুর রহমান। এর মধ্যে ৪২ কোটি
৪৭ লাখ টাকা জমা করেছেন এবং ৩৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন। এই টাকা দিয়ে তিনি নিজের নাবালক দুই ছেলের নামে ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকার এফডিআর একাউন্ট পরিচালনা করেছেন। এছাড়া পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছেন ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা।৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা দিয়ে ঢাকা ও গাজীপুরে জমি কিনেছেন। এছাড়া ঢাকায় ৪টি ফ্লাট কিনেছেন। তিনটি গাড়ি কিনে ব্যবহার করছেন। এসব সম্পদের হিসেব তিনি আয়কর নথিতে উল্লেখ করেন নি। যা কালো টাকা ও অবৈধ সম্পদ অর্জন হিসেবে চিহ্নিত করেছে দুদক।
এসব অভিযোগ আয়কর ফাঁকি, অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অপরাধ বলে গণ্য করা হয়। যা
বিচারের আওতায় আনার জন্য অনুসন্ধানকারী দলকে দায়িত্ব দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন। গত ৮ জুন এই অভিযোগ অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দুদকের উপপরিচালক ইয়াসির আরাফাতকে। এ ছাড়া ব্যাংকের নানা হিসেব যাচাই বাছাইয়ের জন্য উপপরিচালক আনোয়ার হোসেনকে তদারককারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের কোম্পানি সচিব মিজানুর রহমান দ্য রিপোর্টের প্রশ্নের উত্তরে এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, "আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যচার করা হচ্ছে"। রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, "এটা মিজানুর রহমানের ব্যক্তিগত বিষয়। কোম্পানির বিষয় নয়। তবে কোম্পানির পক্ষ থেকে এ ঘটনার ওপর নজর রাখা হচ্ছে"।