দাম কমাতে টিসিবি পেয়াঁজ বিক্রি করতে চায়
আমির হামজা, দ্য রিপোর্ট: পেয়াঁজের দাম নির্ধারনের ১৩ দিনে মাথায় শহর অঞ্চলে পেয়াঁজের দাম কমানো উদ্যোগ হিসেবে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পেয়াঁজ বিক্রি করতে চায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। বর্তমানে ঢাকার বাজারের প্রতি কেজি পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা । প্রশাসনিকভাবে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের মাধ্যমে পেয়াঁজের দাম কমানোর সব উদ্যোগই ব্যর্থ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে টিসিবিকে ব্যবহার করতে চায় সরকার ।
এই অবস্থার প্রক্ষিতে মঙ্গলবার টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আরিফুল হাসান সিনিয়র বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, "এ পর্যন্ত ভারত থেকে বিভিন্ন স্থল বন্দর দিয়ে প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন পেয়াঁজ বাংলাদেশের বিভিন্ন বাজারে এসেছে। সুতরাং পেয়াঁজের দাম কমে যাওয়ার প্রত্যাশা থাকলে এখনও বাজারে সেই পেয়াঁজের দাম বাজারে কমছে না। দাম কমানো জন্য স্থানীয় বাজার থেকে পেয়াঁজ কিনে সরকারী সম্ভাব্য নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারলে শহর অঞ্চলে পেয়াঁজের দামটা কমে আসবে"।
চিঠিতে তিনি আরো বলেন , টিসিবি ট্রাক সেলের মাধ্যমে প্রতি কেজি সরকারের পেঁয়াজের দরে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ২ কেজি পেঁয়াজ কিনতে সুযোগ করে দিতে পারে।গত ১৪ সেপ্টেম্বের বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রথমবারের মতো তিনটি কৃষিপণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছিল সরকার। সেগুলো হচ্ছে ডিম, আলু ও দেশি পেঁয়াজ। বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী, প্রতিটি ফার্মের ডিম ১২ টাকা, আলু খুচরা পর্যায়ে ৩৫-৩৬ টাকা (হিমাগার পর্যায়ে ২৬-২৭) এবং দেশি পেঁয়াজের দাম হবে ৬৪-৬৫ টাকা।
গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে। উৎপাদন পণ্যটির বার্ষিক চাহিদা ২৮ লাখ টন অতিক্রম করে যাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৬ লাখ টন। তার আগের বছর দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ছিল ৩৪ লাখ টন।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তৃতীয় কিস্তিতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে সর্বশেষে পেয়াঁজ বিক্রি করেছিল টিসিবি । তখন টিসিবি প্রতি কেজি পেয়াঁজ বিক্রি হয়েছিল ৩৫ টাকা ।