নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রী ঠিক করবেন: কাদের
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: নির্বাচনের সময় মন্ত্রিসভা কেমন হবে, তা প্রধানমন্ত্রী ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গঠিত সেই মন্ত্রীসভার কাজ হবে শুধুমাত্র রুটিন ওয়ার্ক করা। আগামী নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে করবো, এর বাইরে আওয়ামী লীগের কোন চিন্তা নেই।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির প্রথম সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করবে। বিএনপি মানেই সন্ত্রাস। তাদের আমলে দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি। তারা নিজেদের পকেটকে উন্নয়ন করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কে নির্বাচনে আসল, কে আসল না সেটা বড় কথা নয়। নির্বাচন সময়মতো সংবিধান অনুযায়ীই হবে।
তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে বলেন, আফ্রিকা-ইসরায়েল দেখেন, বাংলাদেশ নিয়ে মাথা ঘামানোর আপনাদের দরকার নেই। আফ্রিকায় কদিন পরপর বিদ্রোহ হয়, সেটা থামাতে পারেন না। দুষ্ট ছেলে ইসরায়েলকে থামাতে পারেন না। নেতানিয়াহু তো কথা শোনে না। আমাদের নির্বাচন নিয়ে এত মাথা ঘামান কেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করব। আমরা যা করব, পরিপূর্ণভাবেই সংবিধান ফলো করেই করব। দুনিয়ার অন্যান্য দেশে যেভাবে হয়, সেভাবেই হবে। কে নিষেধাজ্ঞা দিলো, সেটাও আমাদের হেডেক না। আমরা তো নির্বাচন করব, নিষেধাজ্ঞা আমাদের জন্য নয়, যারা বাধা দেবে, তাদের নিষেধাজ্ঞা দেন।
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, মন্ত্রিসভা নির্বাচনকালীন ছোট কি বড় হবে এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তিনি চাইলে, গতবারের মতো যেভাবে আছে সেভাবেও থাকতে পারে। এটাতে আমাদের কারও কিছু করার নেই। সেই মন্ত্রিসভার কার্যক্রম হবে, রুটিন ওয়ার্ক। মেজর কোনো পলিসি ডিসিশন নেবে না।
বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা আব্বাস চাঁদরাত দেখেছেন। কী দেখেছেন, ঝিনাইদহে কয়েকজন মানুষ দেখেছে। ফখরুল বলেছেন, অক্টোবরে নাকি আমাদের চলে যেতে হবে। আমি বলেছি, এই অক্টোবরে আছি, আগামী অক্টোবরেও থাকব। জনগণ আমাদের চায়। শেখ হাসিনার বিকল্প আছে কি? সেটি ভাবতে হবে, সেই আলোকে ইশতেহার সাজাতে হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, অ্যকশনমুখী ইশতেহার লাগবে। যেমন কুকুর তেমন মুগুর স্টাইলে ইশতেহার করেন। ক্লাইমেট চেঞ্জের বিষয়ে সামনে রাখতে হবে। ২০২৬ এবং ২০৪০ সাল মাথায় রাখতে হবে। ডিজিটাল হয়ে গেছে, এখন মাথায় স্মার্ট বাংলাদেশ। কীভাবে সর্বত্র স্মার্ট করা যায়, সেটা ভাবতে হবে।
শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে কাদের বলেন, ৭৭ বছরেও তার গতি দেখলে মনে হয়, গতিতে তিনি সত্যিকারার্থে অ্যারাবিয়ান হর্স। শেখ হাসিনা আল্লাহর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ।