দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা সংক্রান্ত আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। রোববার (১ অক্টোবর) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্ত জানা গেছে।

এর আগে দুপুরে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, আইনগতভাবে খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী যে মতামত দিয়েছেন, সেটা হলো আইনের অবস্থান। আমি মনে করি, এটাই সঠিক।

এর আগে, বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে হলে আবার জেলে যেতে হবে এবং আদালতে আবেদন করতে হবে।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আইনি জটিলতা আছে। তাই বিদেশ নিতে তার পরিবারের করা আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

টানা এক মাসের বেশি সময় ধরে খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ৯ আগস্ট তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে গত ১২ জুন এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার সাজা হয়। সেদিন থেকে প্রায় দুই বছর কারাবন্দি ছিলেন তিনি। এছাড়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আরও সাত বছরের সাজা হয় খালেদা জিয়ার। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ করোনা মহামারির শুরুতে তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দিয়েছিল সরকার। এরপর থেকে তার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস করে বাড়ানো হচ্ছে।