দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার বিষয়ে করা আবেদনে বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আবেদনের বিষয়ে মতামত চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে এ আবেদন।

রোববার (১ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব জানান তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে হলে জেলে গিয়ে আবারও আবেদন করতে হবে। তখন আদালত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। বেগম জিয়ার বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে পারিবারিক আবেদনে এমন মতামত দিয়ে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এর আগে দুপুরে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে করা আবেদন যাচাই করে আজকেই মতামত দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আইনগত ভাবে খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার সুযোগ নেই। দেশের সব কাজই আইনের মাধ্যমে করতে হয়। নির্বাহী আদেশে বিদেশ গেলেও আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সেই নির্বাহী আদেশ দিতে হবে। আইনের বাইরে কোনো নির্বাহী আদেশ হতে পারে না। এদিকে, গত ৯ আগস্ট খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। টানা ৫৩ দিন ধরে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে তিন দফায় তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। বেগম জিয়ার অসুস্থতা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর তাকে স্থায়ীভাবে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসা দেওয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে তার পরিবার। পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে হার্টের সমস্যা, লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দী হন। ২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। সর্বশেষ ১২ সেপ্টেম্বর আরও ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।