দুদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলার প্রধান আসামি হিসাবে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হয়েছেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি দুদুকে পৌঁছেন। তাঁকে এ মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদক মামলাটি করেছিল চলতি বছরের ৩০ মে।
এ মামলায় বুধবার দুদকে তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন– গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালক নাজনীন সুলতানা, নূরজাহান বেগম ও এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান স্বাক্ষরিত চিঠিতে ড. ইউনূসকে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় দুদক কার্যালয়ে হাজির থাকতে বলা হয়।
এদিকে শ্রমিক ঠকানোর মামলায় বিচার চলছে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। মামলাটি রয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে। এর মধ্যেই অর্থপাচার ও আত্মসাৎ মামলায় প্রথমবারের মতো জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে মুহাম্মদ ইউনূসকে।
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক ও কর্মচারীদের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ তদন্তের স্বার্থে দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে ড. ইউনূসকে।
ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শ্রম আদালতের মামলায় সুবিধা করতে না পেরে দুদকের মামলায় বিচার শুরু করতে তড়িঘড়ি করা হচ্ছে।
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার বাদী হয়ে ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন।
এতে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসানসহ পাঁচ পরিচালকও। মামলায় প্রাথমিক অনুসন্ধানে অর্থ পাচার ও আত্মসাতের সত্যতা পেয়েছে সংস্থাটি।