জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লো সেই পাঁচ ফুটবলার
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: শাহজালাল বিমানবন্দরে মাদক কাণ্ডে জড়িত পাঁচ ফুটবলারকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের স্কোয়াডে রাখেনি বাংলাদেশ দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। বুধবার রাতে তাদের ছাড়াই বাকি ১৫ জন ফুটবলার বাছাই করেছেন স্প্যানিশ কোচ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
পাঁচ ফুটবলার আনিসুর রহমান জিকো, তপু বর্মণ, শেখ মোরসালিন, রিমন হোসেন ও তৌহিদুল আলম সবুজ আগে থেকেই ক্লাবের অনুশীলনের বাইরে। প্রথম চার জন তো জাতীয় দলে নিয়মিত। এখন কাবরেরার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চার জনের কেউই আপাতত জাতীয় দলে জায়গা পাচ্ছেন না। আর সবুজ তো আগে থেকেই অনিয়মিত।
তাদের ছাড়াই আগামী ১২ ও ১৭ অক্টোবর মালদ্বীপের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই খেলবে বাংলাদেশ। বুধবার মতিঝিলের বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির নিয়মিত সভা। সেখানে মূল আকর্ষণ ছিল তদন্ত রিপোর্ট। তবে সম্প্রতি দেশের তারকা ফুটবলাররা মদ আনার ঘটনাটি সবচেয়ে আলোচিত। তাই সভা শেষে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে এ নিয়ে কথা বলতে হয়েছে। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এই প্রসঙ্গে বলেন, তিন চার দিন আগে বসুন্ধরা কিংস আমাকে একটা চিঠি দিয়েছে। সেখানে তারা কয়েকজন খেলোয়াড়দের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানিয়েছে এবং ডিসিপ্লিনারি বিষয়ে তদন্ত করছে জানিয়েছে।
বাফুফে সভাপতি শৃঙ্খলা রক্ষার দিকেই বেশি মনোযোগ, ক্লাব একটি শৃঙ্খলার বিষয়ে তদন্ত করছে। একটি ক্লাব যখন তদন্ত করে বা চিঠি দেয় তখন সেটিকে সম্মান দেখানো দরকার।
জাতীয় দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য ১৫ জনের দল ঘোষণা করেছেন। বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়দের এখনও ডাকেননি। অভিযুক্ত ফুটবলারররা কিংসের। তাই কোচ তাদের ডাকবেন কি না এই প্রশ্নও এসেছে। এর উত্তরে সালাউদ্দিন বলেন, ‘শৃঙ্খলার বিষয়ে ক্লাব , ফেডারেশন, কোচ একসূত্রেই কাজ করা উচিত। আমার যতটুকু মনে হয় কোচ শৃঙ্খলার দিকেই থাকতে পারেন।’ আগামীকালের দিকেই জাতীয় দলে কিংসের ফুটবলারদের ডাকা হতে পারে। সেই দলে মোরসালিন-জিকো ও তপু না থাকলে বাংলাদেশ দলের জন্য মালদ্বীপ ম্যাচ উৎরানো কঠিনই হবে। কিন্তু তাদের কর্মকান্ডের জন্য শাস্তিও প্রয়োজন বলে মনে করেন ফুটবলসংশ্লিষ্টরা।