দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: অর্থ পাচারের মামলায় বক্তব্য জানাতে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে এসেছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৪৭ মিনিট থেকে ১১টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে বের হন। এ সময় সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলেও তিনি প্রথমে কথা বলতে রাজি হচ্ছিলেন না। সেখানে মামলার বিষয়ে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন কথা বলেন।

তবে সাংবাদিকদের অনুরোধের এক পর্যায়ে তিনি বলেন, আমাকে ডেকেছে, আমি এসেছি। আমার বলার কিছু নেই। তবে আপনারা কষ্ট করে এসেছেন সেজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। যেহেতু এটা আইনি বিষয়। আমার আইনজীবী এটার ব্যাখ্যা দেবেন। এরপর উপস্থিত সব সংবাদিকদের সালামও দেন তিনি।

এ সময় ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের ১০৬ কর্মচারী শ্রম আদালতে মামলা করেছিলেন। সেখানে বলা হয়েছে, কেন তাদের নীট মুনাফার ৫ শতাংশ এর অংশ দেয়া হবে না। এ নিয়ে ট্রেড ইউনিয়নেও মামলা হয়েছিল। এই মামলা ট্রেড ইউনিয়ন শ্রম আদালতে গোপন করে হাইকোর্টে এসে একটি মামলা করল।

তিনি বলেন, ‘এ মামলাটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক। এর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।’

আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের বক্তব্য ছিল এমন, গ্রামীন টেলিকম সামাজিক ব্যবসার একটি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে ন নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি ও শিল্প-কলকারখানা গড়ে তোলে বেকারত্ব দূর করা। এটাই স্যারের (ড. ইউনূস) থিওরি অনুযায়ী মূল্য উদ্দেশ্য। এতে বলা আছে, কেউ কোনো মুনাফা নেবে না, এই মুনাফা সমাজের উন্নয়নের জন্য ধারাবাহিকভাবে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে এবং বেকারত্ব দূর করা হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে দুদকের তলবের প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন তিনি।

গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদক মামলাটি করে চলতি বছরের ৩০ মে। এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে তলব করে দুদক। মামলার চার্জশিট দেওয়ার আগে তদন্ত পর্যায়ে এ জিজ্ঞাবাসাবাদ করা হয়।