দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: নিরাপত্তা কর্মীসহ একের পর এক কর্মীকে কামড়ে দেওয়ার জেরে হোয়াইট হাউস থেকে সরানো হয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রিয় পোষ্য কুকুর কমান্ডারকে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র বুধবার বার্তাসংস্থা এএফপিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে হোয়াইট হাউসে দেখা যাচ্ছে না ২ বছর বয়সী জার্মান শেফার্ড জাতের কুকুর কমান্ডারকে। সর্বশেষ গত ৩০ সেপ্টেম্বর তাকে হোয়াইট হাউসের লনে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছিল। এএফপিকে ওই মুখপাত্র বলেছেন, কমান্ডারকে আপাতত ‘অজানা একটি জায়গায়’ রাখা হয়েছে এবং পরবর্তীতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে— সে সম্পর্কিত পরিকল্পনা চলছে।

কমান্ডারের পূর্বসূরী মেজরের বেলায়ও একই ঘটনা ঘটেছিল।২০২০ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০২১ সালের জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে আসেন জো এবং জিল বাইডেন দম্পতি। সে সময় এই দম্পতির পোষ্য কুকুর চ্যাম্পও তাদের সঙ্গে প্রবেশ করে। কিন্তু হোয়াইট হাউসের আসার অল্প কিছুদিনের মধ্যে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যায় ১৩ বছর বয়সী চ্যাম্প। তারপর মেজর নামের একটি কুকুর আসে তাদের পরিবারের সদস্য হয়ে। কমান্ডারের মতো মেজরও জার্মান শেফার্ড জাতের কুকুর ছিল।

হোয়াইট হাউসের আসার কয়েক দিনের মধ্যে একাধিক কর্মীকে কামড়ে দেওয়ায় বাইডেন দম্পতি মেজরকে বাসভবন থেকে সরিয়ে ডেলাওয়্যারে তাদের আত্মীয়-পরিজনদের কাছে পাঠিয়ে দেন। তারপর ওই বছরের ডিসেম্বরে কয়েক মাস বয়সী কুকুরছানা কমান্ডারকে ‘দত্তক’ নেন বাইডেন দম্পতি। কমান্ডারকে আনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) তার ছবি শেয়ার করে বাইডেন বলেছিলেন, ‘হোয়াইট হাউসে স্বাগতম।’ কিন্তু বয়স যত বাড়ছিল কমান্ডারের, পূর্বসূরী মেজরের মতোই বেপরোয়া হয়ে উঠছিল সে। হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা বিভাগ যদিও জানিয়েছে—গত দু’ বছরে নিরাপত্তাকর্মীসহ মোট ১১ জন কর্মীকে কামড় দিয়েছে কমান্ডার, কিন্তু বাস্তবে সংখ্যাটি আরও বেশি বলে এএফপিকে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউসের একটি সূত্র।

গত সপ্তাহে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এবং এক্সোইস টিভি কমান্ডারকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পরই তাকে সরানোর পদক্ষেপ নিলো হোয়াইট হাউস প্রশাসন। এএফপিকে ওই মুখপাত্র বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট এবং ফার্স্টলেডি তাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের প্রতি অত্যন্ত যত্নশীল। (কমান্ডার ইস্যুতে) তারা যে ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছেন— সেজন্য তারা কৃতজ্ঞ।’ ‘এই মুহূর্তে হোয়াইট হাউসে কমান্ডার নেই। তাকে একটি নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে এবং পরবর্তীতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সে সম্পর্কিত পরিকল্পনা চলছে।’