দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংগঠন জানিপপের চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেছেন, দরজায় কড়া নাড়ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এরইমধ্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এমনকি গণমাধ্যমের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রক্রিয়া শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চলতি মাসেই আরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, রোববার থেকে মার্কিন প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দল ঢাকায় কাজ শুরু করবেন। তারা আগামী ১২ তারিখ পর্যন্ত তাদের নির্বাচনী মূল্যায়ন পর্যবেক্ষণে সাক্ষাৎ করবেন পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন, নাগরিক পর্যবেক্ষক, নাগরিক সংগঠন এবং নারী ও তরুণদের সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। ফিরে গিয়ে তারাও তাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। কিছুদিন আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন বিভাগের সমন্বয়ক রিচার্ড নেফিউ ঢাকা এসেছিলেন জানিয়ে ড. কলিমউল্লাহ বলেন, তিনি পররাষ্ট্র সচিবকে সঙ্গে নিয়ে যেটি জানিয়েছিলেন তা হলো, এই স্যাংশন হতে পারে দুর্নীতি নিবারণের বড় হাতিয়ার। আর তার টেস্ট কেস হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে নিউইয়র্ক থেকে তার (নেফিউ) একটি বই প্রকাশিত হয়েছে, ‘দ্য আর্ট অব স্যাংশনস’। তার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এই বইটি লিখেছেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষক বলেন, পৃথিবীর সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্র হলো বাংলাদেশ। স্যাংশনের বড় একটি মডেল হতে যাচ্ছে এ দেশটি। নেফিউ যা বলতে চেয়েছেন তার উদ্দেশ্য দুটি। কেন স্যাংশন আরোপ করা হচ্ছে এর একটি হলো- পেইন; যাতে আপনি ব্যথা অনুভব করেন। আরেকটি হলো- রিজার্ভ। অর্থাৎ মার্কিনীদের রিজার্ভ রয়েছে, তা যেনো আমরা অনুভব করতে পারি। এই বিবিধ চিন্তা নিয়ে তারা স্যাংশন, ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে এবং এই মাসেই আরও কিছু নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।

মার্কিনীরা ইনক্লুসিভ বা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন চায় উল্লেখ করতে গিয়ে কলিমউল্লাহ বলেন, এই যে প্রত্যয়গুলো তারা হাজির করেছেন তা যদি পূরণ না করা যায়, তাহলে কিন্তু নির্বাচনটি অবশ্যই হবে ত্রুটিপূর্ণ। এতে লেজিটিমেটি সংকট কিন্তু কাটবে না। ১৪ এবং ১৮ তে যেভাবে বৈতরণী পার হওয়া গেছে, কোনো অবস্থায় এই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন তেমনটি হবে না। এটি নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ আছে বলে আমার মনে হয় না। শাসক দলেরও অনেকে সচেতনভাবে বা অবচেতনভাবে মাথায় নিয়েছেন। ইউরোপের ২৭টি দেশ এবং ব্রিটেন, কানাডা, ইউএসএ, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াসহ ৩২টি দেশ একত্রে কথা বলা শুরু করবে এবং কথা অনুযায়ী কাজ করা শুরু করবে। তখন সমগ্র বিশ্বের বিরুদ্ধে টিকে থাকা কঠিন, সুতরাং সাধু-সাবধান যোগ করেন এই শিক্ষক।