দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পদ্মা সেতু হয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে রেলপথের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এনিয়ে পদ্মাপাড়ের মানুষের মধ্যে বইছে উচ্ছ্বাস-আনন্দ। সকাল থেকে শরীয়তপুরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ জাজিরার নাওডোবায় রেললাইনের পাশে ও পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়কের ওপর জড়ো হয়েছেন।

শ্রীনগর ও পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তেও ভিড় জমিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। সেতুর দুই প্রান্তে রেললাইন ঘিরে চলছে আনন্দমিছিল।

পদ্মা সেতু হয়ে রেল চলাচলের উদ্বোধনী কর্মসূচি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মাওয়া রেলস্টেশনে নতুন এই রেলপথের উদ্বোধন করেন। এরপর মাওয়া স্টেশন থেকে একটি বিশেষ ট্রেনে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশনে যাবেন তিনি। এতে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের যাত্রী হওয়ার কথা রয়েছে। দুপুর দুইটায় ভাঙ্গার ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকাল থেকে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর এলাকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ের দুই পাশে উৎসুক মানুষের জটলা দেখা যায়। এ সড়ক ধরে মাওয়ার অনুষ্ঠানস্থলের দিকে এগোতে আরও বেশি মানুষের জটলা লক্ষ্য করা যায়।

দেখা যায়, ট্রেনে চড়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ্মা সেতু ও রেলপথ পাড়ি দেওয়ার দৃশ্য দেখতে জাজিরার নাওডোবা এলাকায় হাজারও মানুষ জড়ো হয়েছেন। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও অভিবাদন জানিয়ে নানান স্লোগান দিচ্ছেন। অনেকে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে আনন্দমিছিল করতে করতে নাওডোবায় আসছেন।

পদ্মা সেতুর রেল লিংক প্রকল্প সূত্র জানায়, মাওয়া স্টেশন থেকে ভাঙ্গার দূরত্ব ৪২ কিলোমিটার। এর মধ্য পদ্মা সেতু ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। মাওয়া প্রান্তে মাওয়া স্টেশন থেকে সেতু পর্যন্ত ভায়াডাক্ট (উড়ালপথ) ৩ দশমিক ১৫ কিলোমিটার আর শরীয়তপুর প্রান্তে সেতু থেকে শিবচরের পদ্মা স্টেশন পর্যন্ত ভায়াডাক্ট ৪ কিলোমিটার। মাওয়া স্টেশন থেকে পদ্মা স্টেশন পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৩ কিলোমিটার অংশ (ভায়াডাক্ট ও পদ্মা সেতুর অংশ) পাথরবিহীন রেলপথ।