তিন দফায় অনুমতি দিয়েও এক পিস ডিমও আমদানি হয়নি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: তিন দফায় ১৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত এক পিস ডিমও দেশে প্রবেশ করেনি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অনুমতির ২৩ দিন পর মাত্র দেড় লাখ ডিম আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খোলা সম্ভব হয়েছে। দেশে পৌঁছাতে আরও সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। এই সুযোগে চলতি সপ্তাহে বৃষ্টির অজুহাতে বাজারে ডিমের দাম বাড়িয়েছে একটি সিন্ডিকেট।
দাম বেঁধে দিয়েও মূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় চার প্রতিষ্ঠানকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দ্বিতীয় দফায় ২১ সেপ্টেম্বর ছয় প্রতিষ্ঠানকে ছয় কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর তৃতীয় দফায় গত রবিবার আরও পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আমদানির অনুমতি দিয়েও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না ডিমের বাজার। পুরোনো অজুহাতে আমিষজাতীয় পণ্যটির দাম এক দিনের ব্যবধানে আরও এক দফা বেড়েছে। বড় বাজারগুলোয় খুচরা বিক্রেতারা প্রতি ডজন ফার্মের ডিমের দাম রাখছেন ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। তবে পাড়া-মহল্লায় কিনতে গেলে গুনতে হচ্ছে ১৭০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে চাহিদা বেড়েছে ডিমের। সেই তুলনায় জোগান বাড়েনি। এ কারণে বাজারে দাম বাড়তি। তবে শিগগিরই আমদানি না হলে দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ।
রাজধানীর তেজকুনিপাড়া, হাতিরপুল কাঁচাবাজারসহ এলাকাভিত্তিক কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। তবে এক হালি কিনতে হলে ব্যবসায়ীরা দাম রাখছেন ৬০ টাকা। প্রতিটি ডিমের দাম পড়ছে ১৫ টাকা। তবে কারওয়ান বাজারের মতো বড় বাজারগুলোয় কিছুটা কম দরে পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল কারওয়ান বাজারে ডিমের ডজন বিক্রি হয় ১৫৫ থেকে ১৫৮ টাকায়।
তেজকুনিপাড়া এলাকার মা-বাবার দোয়া স্টোরের স্বত্বাধিকারী ওহিদুল ইসলাম বলেন, পাইকারি বাজারে চার-পাঁচ দিন ধরে ডিমের দাম বাড়তি। ডজন ১৭০ টাকার কমে বিক্রি করলে লাভ থাকে না।
এদিকে আমদানির অনুমতি পাওয়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, ৩৩ শতাংশ শুল্ক পরিশোধ করে প্রতিটি ডিমের আমদানি খরচ ১০ টাকার বেশি পড়বে। শুল্ক কমালে ব্যবসায়ীরা দ্রুত আমদানি করবে।