"ফোর্সডসেল বন্ধ করায় এক লাখ কোটি টাকা পুঁজিবাজারে ব্লক"
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বর্তমান পরিস্থিতিতে মার্কেট গতিশীল করার জন্য বিএসইসির হাতে কোন টুলস নেই। বরং এ টুলস রয়েছে পাবলিক লিস্টেড কোম্পানিগুলোর হাতে এমনটা মনে করেন বাংলাদেশ মার্চেন্টস ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, "২০১০ সালের পুঁজিবাজার ধসের সময় ফোর্সডসেল বন্ধ করায় প্রায় এক লাখ কোটি টাকা পুঁজিবাজারে ব্লক হয়ে আছে"।
বুধবার (১১ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর হোটেল একাত্তরে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নলিস্টস’ ফোরাম (সিএমজেএফ) এবং বাংলাদেশ মার্চেন্টস ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) যৌথভাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
যে কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি অংশ পুঁজিবাজার। আমাদের দেশের মানুষেররা বাজার নিয়ে আবেগপ্রবণ। তারা ফেসবুকের ভুয়া তথ্য দেখে বিনিয়োগ করে বলে মনে করেন বিএমবিএ প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, "কোনো সংবাদ অসম্পূর্ণ হলে পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কারণ আবেগে পড়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। ভুয়া তথ্যে তারা নিজেদের পাশাপাশি অন্যদেরকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছেন। ফ্লোর প্রাইস নিয়ে শুরু থেকেই বিরোধিতা করেছি। কারণ স্বাভাবিক প্রক্রিয়া কোনোদিন থামানো যায় না"।
সিএমজেএফ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে দেশের পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া এখন নির্বাচন পরিস্থিতিও অস্থিতিশীল। ডলার সংকটের কারণে অনেক ব্যাংক এলসি খুলতে পারছে না। এসবের প্রভাবে পুঁজিবাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে"। তবে খুব শীগ্রই সবকিছু স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আয়োজিত অনুষ্ঠানেবিএমবিএ সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ মতিন,সিএমজেএফের সাধারণ সম্পাদক আবু আলী, সিএমজেএফের সাবেক সভাপতি ও দ্য রিপোর্ট ২৪ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, সিএমজেফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন,বিএমবিএর নির্বাহী পরিচালক মাহবুব এইচ মজুমদার এবং ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সহ আরও অনেক সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।