মুশফিকের ফিফটিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৪৫
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি টাইগার ওপেনাররা। ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরে গেছেন লিটন। ট্রেন্ট বোল্টের বলে ম্যাট হেনরির তালুবন্দী হন এই টাইগার ওপেনার। ১ বলে শূন্য রান করেন তিনি। তার বিদায়ে দ্বিতীয় উইকেটে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় ইনিংসের হাল ধরেন তামিম।
কিন্তু বেশিদূর এগিয়ে যেতে পারেন নি তরুণ এই ওপেনার ১৭ বলে ১৬ রান করে লকি ফার্গুসনের শিকার হন। দলীয় ৪০ রানের দ্বিতীয় উইকেট হারানো বাংলাদেশ ১২তম ওভারে আরো চাপে পড়ে মেহেদী হাসান মিরাজকে হারিয়ে।
ফার্গুসনের করা শর্ট বলে পুল খেলতে গিয়ে থার্ড ম্যানে ক্যাচ দিয়ে বসেন মিরাজ। দলীয় ৫৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ শিবিরে আসা যাওয়ার মিছিল শুরু হয়। ১৩তম ওভারে টাইগারদের চাপে রেখে সাজঘরে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৮ বলে ৭ রান করে গ্লেন ফিলিপসের শিকার হন তিনি। তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের ৯৬ রানের জুটিতে ম্যাচের হাল ধরে বাংলাদেশ।
তবে দলীয় ১৫২ রানে সাকিব ব্যক্তিগত ৪০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মুশফিকুর রহিম দারুণ অর্ধশতক তুলে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু ম্যাট হেনরির বলে ব্যক্তিগত ৬৬ রান করে বোল্ড হন তিনি। তাওহীদ হৃদয়ও ক্রিজে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ফলে আবারো ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। ১৫২/৪ থেকে ১৮০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে অলআউটের দ্বারপ্রান্তে চলে যায় বাংলাদেশ।
তবে অষ্টম উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাসকিন আহমেদের ব্যাটে ২০০ রান পার করে টাইগাররা। শেষ দিকে অভিজ্ঞ রিয়াদের ৪১ রানের ইনিংসে লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৪৫ রান। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন মুশফিক। কিউইদের হয়ে ৩টি উইকেট নেন লকি ফার্গুসন।