এখনও সময় আছে, সেফ এক্সিট নেন: মির্জা ফখরুল
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ এমন একটা দল, যারা সবসময় জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তাদের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। নির্বাচনের তিন মাস পর আবার সেই আওয়ামী লীগে ভোট দেওয়া লোকগুলো বলে ‘আগে জানলে তোর ভাঙ্গা নৌকায় উঠতাম না’।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গণতন্ত্র রক্ষা ও একদফা দাবি আদায়ে ‘মরহুম সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট এ সভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এমনভাবে কথা বলে, দেশটা যেন তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। তারা ভাবে, এটা আমার, তুমি আবার এর মধ্যে নাক গলাও কেন?’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, ‘তিনি শেষ বার্তা দিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকবেন। তিনি আবার নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী হবেন’ এমন মন্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যদি জানেন আপনারা জয়ী হয়ে শেখ হাসিনাই প্রধানমন্ত্রী হবেন, তবে ভোট করার দরকার কি?’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনের আগে সুন্দর সুন্দর কথা বলে। এমনভাবে আকৃষ্ট করে, মানুষ ভোট দেয়। নির্বাচনের তিন মাস পর তাদের সেই চিরাচরিত চরিত্র ফুটে ওঠে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নাকি আজিমপুর কবরস্থানে পাঠিয়ে দিয়ে কবর দেওয়া হয়েছে। যদি এই ব্যবস্থার কবরই দেবেন, তাহলে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য এত মানুষকে হত্যা করলেন কেন?
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক যে সংস্কৃতি তা দুর্ভাগ্যজনকভাবে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। একটি রাজনৈতিক দল আরেকটি রাজনৈতিক দলকে বিশ্বাস করে না। আজ ৫২ বছর পরও ভাবতে হয় নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে, অথচ আমাদের আশপাশের দেশগুলোতে নির্বাচনী সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
তিনি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এখনও সময় আছে, সেফ এক্সিট নেন, পদত্যাগ করে সরে গিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দেন। নতুবা জনগণের আন্দোলনে আপনাদের করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাগপা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদত হোসেন, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এডিপি চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, বিকল্প ধারার নূরুল ইসলাম বেপারী, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এস এম শাওন সাদেকি, মাইনরিটি জনতা পার্টির চেয়ারম্যান সুকৃতি প্রমুখ।