দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হামলায় গত ১৩ দিনে নিহত হয়েছেন তিন হাজার ৭৮৫ ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে এক হাজার ৫২৫ শিশু এবং হাজারেরও বেশি নারী প্রাণ হারিয়েছেন।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে (১৯ অক্টোবর) ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় দেশটির সংবাদমাধ্যম ওয়াফা। ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম ওয়াফা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারও গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে নিহতদের মধ্যে মিসর সীমান্তবর্তী রাফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিভিন্ন পরিবারের ৩০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন অনেকে। তাদের আবু ইউসুফ আল-নাজ্জার হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

ইসরায়েলি বিমানবাহিনী রাফাহর আল-মাসরি টাওয়ারের উপরে বোমা ছুড়েছে। নির্বিচার এ হামলায় এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৭৮৫ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৫২৫ শিশু এবং নারী রয়েছেন ১ হাজারেরও বেশি। অপরদিকে, হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এছাড়া ইসরায়েল থেকে ২০৬ জনকে অপহরণ করে হামাস গাজায় জিম্মি করে রেখেছে বলে ইসরায়েল দাবি করছে। এদিকে উত্তর গাজার জাবালিয়া রিফিউজি ক্যাম্পে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে। এছাড়াও মধ্য গাজার একটি আবাসিক ভবন এবং একটি গির্জা প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। পৃথক এ দুটি হামলায় আরও অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে এবং ৪০ জনের বেশি আহত হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাস রকেট হামলা চালানোর পর গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে তেল আবিব। ১৪তম দিনের মতো চলছে এই হামলা। ইতোমধ্যে প্রায় ২৩ লাখ মানুষের বসতি গাজায় বন্ধ করে দেয়া হয় বিদ্যুৎ, পানি, খাবার এবং ওষুধ সুবিধা। ফলে ওই সময়ে থেকেই গাজার বাসিন্দাদের মৌলিক চাহিদা চরম হুমকিতে।