নির্বাচন নিয়ে আলাপের দরজা খোলা: হানিফ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আগামী নির্বাচন নিয়ে যদি কোনো দল সরকারের সাথে কথা বলতে চায় তাহলে অবশ্যই কথা বলতে পারে জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, "আলাপের দরজা খোলা আছে। তবে সেটাকে অবশ্যই সংবিধান সম্মত হতে হবে এবং শর্তবিহীন হতে হবে। সংবিধানের বাইরে যেয়ে কোনো কথা বলার বা শোনার সুযোগ নেই।"
নাগরিক পরিষদের আয়োজনে রোববার (২২ অক্টোবর) কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমিতে জেলার উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ইমাম, মাদরাসার শিক্ষক ও ওলামায়ে কেরামদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির আন্দোলন নিয়ে মানুষ এখন আর চিন্তা করে না উল্লেখ করে হানিফ বলেন, "২০১৩ সাল থেকে বেগম খালেদা জিয়া সরকার পতনের আন্দোলন করে আসছেন। এখন আর বাংলাদেশে কোনো মানুষ বিএনপির তথাকথিত এই আন্দোলন নিয়ে ভাবে না আর এটা নিয়ে আওয়ামী লীগেরও ভাবনার কিছু নেই।"
দেশে রাজনৈতিক সংকট চলছে বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, "দেশে কোনো রাজনৈতিক সংকট নেই, আওয়ামী লীগেও কোনো সংকট নেই, রাজনৈতিক সংকটে আছে বিএনপি। কারণ যে দলের শীর্ষ দুই নেতা দুর্নীতি, সন্ত্রাস, হত্যা খুনের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হয় সেই দল রাজনৈতিক সংকটে থাকবে এটাই স্বাভাবিক।"
হানিফ বলেন, "বিএনপি সেই রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের জন্য দেশের সাধারণ মানুষের ওপর ভরসা করে নাই, তারা ভরসা করেছে বিদেশি প্রভুদের ওপর। এসব নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে কোনো শঙ্কা বা সংকট নেই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে হবে সেটির জন্য বাংলাদেশের মানুষ মানসিকভাবে প্রস্ততি নিচ্ছে।"
তিনি বলেন, "বাংলাদেশের মানুষকে বিভক্ত করেছে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনি জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করে হত্যাকারীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরস্কৃত করে পূনর্বাসনের মধ্যেদিয়ে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সম্পূর্ন পদদলিত করে স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানি ভাবধারাকে প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই তো জাতিকে বিভক্ত করেছে। তখন থেকেই জাতি দুইভাগে বিভক্ত। একদিকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আরেক দিকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি বিএনপির নেতৃত্বে।"
হানিফ বলেন, "আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। এই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়ে সেটা যাচাই ও পরীক্ষা করতে পারে।'