দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: হুদিবাদী ইসরাইলি সেনারা অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান চালালে ফিলিস্তিনিরা এই উপত্যকাকে দখলদার সেনাদের জন্য কবরস্থানে পরিণত করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ।

হিজবুল্লাহর উপ মহাসচিব শেখ নাঈম কাসেম শনিবার রাতে টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক বক্তব্য এ হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, “আমাদের বিজয় ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই এবং দখলদারদের পরাজয় ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।” ইসরাইলিদের কোনো অপরাধই বিনা জবাবে পার পাবে না বলেও তিনি সতর্ক করে দেন।

হিজবুল্লাহর এই সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, শত্রুরা আজ প্রতিরোধ অক্ষের সক্ষমতা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে। তিনি ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের ৭ অক্টোবরের আল-আকসা তুফান অভিযানের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ওই অভিযান ছিল ‘ইসরাইল নামক কফিনে একটি পেরেক।’

শেখ নাঈম কাসেম ইসরাইলকে সমর্থন করার জন্য পশ্চিমা বিশ্বের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, পাশ্চাত্য ফিলিস্তিনি জনগণের রক্তে নিজেদের হাত রঞ্জিত করেছে। তিনি বলেন, এতদিন পশ্চিমারা ‘দুই রাষ্ট্রভিত্তিক’ যে সমাধানের কথা বলে এসেছে তা যে ভাওতাবাজি ছাড়া আর কিছু ছিল না তা এখন স্পষ্ট হয়েছে।

হিজবুল্লাহর উপ মহাসচিব বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিনি বেসামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের টার্গেট করে গাজা উপত্যকায় একটি পদ্ধতিগত গণহত্যা চালাচ্ছে।

হিজবুল্লাহকে চলমান যুদ্ধে হস্তক্ষেপ না করার জন্য বহু পক্ষ থেকে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেন শেখ নাঈম কাসেম। তবে তিনি বলেন, “আমরা এখন যুদ্ধের ঠিক মাঝখানে ঢুকে পড়েছি এবং এখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আর সুযোগ নেই।” হিজবুল্লাহর এই সিনিয়র নেতা বলেন, “যারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে তাদেরকে আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, আগে দখলদার সেনাদেরকে আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে, তবেই এ যুদ্ধের বিস্তার রোধ করা যাবে।