দুই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে লাগবে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা
আমির হামজা, দ্য রিপোর্ট: দেশে চলমান বিদ্যুৎ সংকটের মধ্যেই নতুন সুখবর দিয়েছে দুটি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র। নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে এ দুটি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার।কেন্দ্র দুটি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সরাসরি জাতীয় গ্রিডে (অন গ্রিড) গিয়ে যুক্ত হবে। জামালপুর ও মুন্সীগঞ্জের ১৮০ মেগাওয়ার্ট এবং ১৩০ মেগাওয়ার্ট থেকে ২০ বছরে বিদ্যুৎ কিনতে সরকরের খরচ হবে ১১ হাজার ৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা ।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) আওতায় জামালপুর জেলার সদর উপজেলায় ঘোড়াধাপ ইউনিয়নে ১৮০ মেগাওয়ার্ট ক্ষমতাসম্পন্ন এবং মুন্সীগঞ্জ জেলার গজরিয়া উপজেলায় ১৩০ মেগাওয়ার্ট সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করবে দুই দেশী বিদেশী কসোর্টিয়াম। আগামী বুধবার বিদ্যুৎ বিভাগের সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রী সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবে অর্থ মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। সম্প্রতি সিনিয়ার বিদ্যুৎ সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান বিপিএএ এ সংক্রান্ত দুইটি প্রস্তাব কেবিনেট ডিভিশনে পাঠিয়েছে।
ম্যাক্স -এইচবিও কর্সোটিয়াম জামালপুরে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তৈরি করবে । বিপিডিবি বা সরকারের আগামী ২০ বছর এই সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রতি কিলো ওয়ার্ট ট্যারিফ হচ্ছে ০.০৯৯৯ কিলো ওয়ার্ট ডলার বা ১০ দশমিক ৯৮৯ টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ কিনতে খরচ হবে ৬ হাজার ৪১০ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
অন্যদিকে, এনোয়ারগি রিনোওয়াবেল (বিডি) লিমিটেড এবং বিডাব আর এনার্জি ট্রেডিং এল এল সি কসোর্টিয়াম মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় ১৩০ মেগাওয়ার্ট সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপন করবে। আগামী ২০ বছরে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রতি কিলোওয়াট ০ দশমিক ১০ ডলার এবং বাংলা টাকায় ১১ টাকা কিলোওয়ার্ট কিনতে খরচ হবে ৪ হাজার ৬৩৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মতে, বর্তমানে দেশে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ২ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনের জন্য এসব উৎস থেকে কমপক্ষে ১২ শতাংশ বিদ্যুতের প্রয়োজন।টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) প্রস্ততকৃত ‘ন্যাশনাল সোলার এনার্জি রোডম্যাপ ২০২১-৪১’ অনুসারে, বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে সৌর বিদ্যুতের উৎপাদন সুবিধা সম্প্রসারণের মাধ্যমে ২০ হাজার মেগাওয়াট গ্রিন ইলেকট্রিসিটি উৎপাদন করতে পারে। এমনকি নদী তীরবর্তী এবং পরিত্যক্ত জমির যথাযথ ব্যবহার করে সৌর বিদ্যুতের সক্ষমতা ৩০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা যেতে পারে।