দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: মহেশখালীতে থাকা এলএনজির রিগ্যান ক্যাপাসিটি ৫০০ এমএমসিএফডি থেকে বাড়িয়ে ৬০০ এমএমসিএফডি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে সিঙ্গাপুরের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ৭৬২ কোট ৩৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮০ টাকায় কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ছে। পাশাপাশি এলএনজি আমদানির লক্ষ্যে  এক্সেলরেট গ্যাস মার্কেটিং লিমিটেডের সঙ্গে ১৫ বছর মেয়াদি চুক্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এসব বিষয় অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বুধবার (২৫ অক্টোবর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।

তিনি জানান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক মহেশখালীতে বিদ্যমান এলএনজির রিগ্যান ক্যাপাসিটি ৫০০ এমএমসিএফডি থেকে ৬০০ এমএমসিএফডি বাড়িয়ে এক্সেলরেট এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেড (ইইবিএল) কর্তৃক এলএনজি টার্মিনানের সম্প্রসারণ সংক্রান্ত এলএনজি ব্যবহার চুক্তির খসড়া সংশোধনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে পেট্রোবাংলা কর্তৃক এক্সেলরেট গ্যাস মার্কিটিং লিমিটেডের নিকট থেকে ১৫ বছর মেয়াদে জানুয়ারি ২০২৬ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ০.৮৫ এমটিপিএ এবং ২০২৮ সাল থেকে ২০৪০ সাল পর্যন্ত ১.০০ এমটিপিএ এলএনজি আমদানির লক্ষ্যে নেগোসিয়েশন করা দরপ্রস্তাব এবং খসড়া এলএনজি এসপিএ চূড়ান্ত করার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এছাড়া জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন-২০২১’-এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে (২০২৩ সালের ২৩তম) এলএনজি সিঙ্গাপুরের এম/এস ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানির অনুমোদ দেয়াহয়েছে। প্রতি এমএমবিটিইউ’র দাম পড়বে ১৭ দশমিক ৫৫ মার্কিন ডলার। আর এই এলএনজি আমদানি করতে মোট খরচ হবে ৭৬২ কোটি ৩৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮০ টাকা।