জানা গেলো সাকিবের ঢাকায় আসার কারণ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন নিয়ে ভারতে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে খুবই নাজেহাল অবস্থার মুখে টাইগাররা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলেও পরের চারটি ম্যাচেই শোচনীয় পরাজয় হয়েছে সাকিবদের।
গতকাল (মঙ্গলবার) মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ম্যাচে বাংলাদেশকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে প্রোটিয়ারা। আগে ব্যাট করে ৩৮২ রান করার পর তারা ম্যাচ জিতেছে ১৪৯ রানে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ শেষ হতে না হতেই আজ সকালে হঠাৎ করেই ঢাকায় ফিরে এসেছেন সাকিব আল হাসান। ইতোমধ্যে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সংবাদটি। কিন্তু হুট করে কেনই-বা দেশ এলেন এই অলরাউন্ডার। সমর্থকদের মনে উঠেছে নানান প্রশ্ন। চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
ধারণা করা হচ্ছে, অধিনায়ক সাকিবের দেশে ফেরা কোনো ব্যক্তিগত কাজে নয়। অনুশীলন করতেই এসেছেন তিনি। বিশ্বকাপে ৪ ম্যাচে ব্যাট করে খুব একটা সুখকর অবস্থায় নেই টাইগার অধিনায়ক। দলের বাজে অবস্থার সাথে বাজে অবস্থায় তার ব্যাটিংও। যে কারণে ব্যাটিং নিয়ে কাজ করতে ঢাকা এসেছেন সাকিব।
এদিকে দেশের কিছু গণমাধ্যম বলছে কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সঙ্গে অনুশীলনও করেছেন তিনি। কেউ আবার বলছেন কোচ ও বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদিন ফাহিমের অধীনে অনুশীলন করেছেন সাকিব। তবে জানা গেছে, ঢাকায় ফিরে দুপুরে মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ইনডোরে বিকেএসপির ছোট বেলার কোচ ফাহিমের অধীনেই নিবিড় অনুশীলন করেছেন সাকিব। এরপর দেশের অন্যতম অভিজ্ঞ কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিম সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সাকিব সকালে বাংলাদেশে এসেছে। আমার সঙ্গে আজ অনুশীলন করেছে। আরও দুই দিন সে অনুশীলন করবে। সাকিব ব্যাটিং নিয়ে কাজ করছে।’
আগামী ২৮ অক্টোবর কলকাতার ইডেন গার্ডেনেই নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হওয়ার আগের দিন দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি। এদিকে মুম্বাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ শেষ হওয়ার পর আজই কলকাতায় আসার কথা রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের।
এবারের বিশ্বকাপে ব্যাট এবং বল হাতে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না সাকিব আল হাসান। ইনজুরির কারণে ভারতের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। বাকি চার ম্যাচে ২৪ গড়ে রান করেছেন ৫৬। সর্বোচ্চ ৪০ রান করেছেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। আর বল হাতে ওভার প্রতি ৫.৫৪ রান করে দিয়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট। যার মধ্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে নেওয়া ৩০ রানে ৩ উইকেট তার সেরা পারফরম্যান্স। এখন সাকিব নিজেকে ঝালিয়ে নিয়ে স্বরুপে ফিরতে পারেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।