গাজায় স্ত্রী সন্তান হারালো আল জাজিরার সাংবাদিক
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: গাজায় আল জাজিরার প্রধান সাংবাদিক ওয়ায়েল দাহদুহর বাড়িতে বিমান হামলা চালিয়ে স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। সত্য তুলে ধরার জন্য তার পরিবারের সদস্যদের টার্গেট করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওয়ায়েল দাহদুহ।
আল জাজিরা আরবিতে সম্প্রচারিত ফুটেজে দাহদুহ হাসপাতালে তার পরিবারের সদস্যদের মৃতদেহ ধরে থাকতে দেখা গেছে।
দাহদুহ বলেন, ইসরায়েলের হুমকির পর তার পরিবারকে তিনি দক্ষিণ গাজা থেকে সরিয়ে উত্তর গাজার বাড়িতে সরিয়ে নিয়েছিলেন। সেখানেই তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'এইমাত্র যা ঘটেছে তা পরিষ্কার – এটি গাজায় নারী ও শিশুদের চলমান লক্ষ্যবস্তুর অংশ। আমি শুধু নুসিরাত এলাকাকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে রিপোর্ট করছিলাম।'
আল জাজিরার সাংবাদিক বলেন, 'আমরা জানতাম ইসরায়েলি দখলদারিত্ব আমাদের শাস্তি না দিয়ে ছাড়বে না। তারা তাদের প্রতিশোধ নিচ্ছে শিশুদের ওপর। কিন্তু আমাদের কান্না মানুষের, কাপুরুষতার নয়।' দাহদুহ সারাদিন আল জাজিরা আরবিতে লাইভ রিপোর্ট করছিলেন যখন তার পরিবার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরের একটি অস্থায়ী বাড়িতে ছিল।
দাহদুহকে গাজার ফিলিস্তিনিদের কণ্ঠস্বর বলে উল্লেখ করেছেন তার সহকর্মীরা। তারা বলেন, আপনি সেখানে রাস্তায় ঘুরে বেড়ান তখন কাউকে জিজ্ঞাসা করুন।
আল জাজিরার তারেক আবু আজজুম বলেন, আত্মীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে যান। যখন খবর পান দাহদুহ তখন বিশ্বের কাছে গাজার বাস্তব চিত্র তুলে ধরছিলেন।
আজজুম বলেন, দাহদুহর পরিবার আল-নুসিরাত শরণার্থী শিবিরের বাড়িতে বাস করছিল। ইসরায়েলি বিমান বাড়িটিকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।
আল জাজিরার আরবি প্রযোজক সাফওয়াত আল-কাহলুত গাজার দের এল-বালাহ বলেন, 'আমি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ওয়ায়েলকে চিনি। তার পরিবার গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বিখ্যাত পরিবারগুলোর মধ্যে একটি। এটি একটি পরিচিত পরিবার। সত্য রিপোর্ট করার জন্য তাকে মূল্য দিতে হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় নিহত বেড়ে ৬ হাজার ৫৪৬ জনে পৌঁছেছে। এদের মধ্যে ২৭০৪টিই শিশু।