হামুনের আঘাতে ৩৭ হাজার বাড়িঘর বিধ্বস্ত
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’র আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কক্সবাজার জেলার ৭১টি ইউনিয়ন ও কক্সবাজার, মহেশখালীসহ দুটি পৌরসভা। জেলায় দুর্গত মানুষের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৭৬ হাজার ৫৪৯ জন। এ সময় দেয়ালচাপায় নিহত হয়েছেন তিনজন।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের ক্ষয়ক্ষতির বিবরণীতে এমন তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। ঘূর্ণিঝড়ে নিহতরা হলেন কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার আবদুল খালেক (৪২), মহেশখালীর উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের গোরস্তানপাড়ার হারাধন দে (৪৫) ও চকরিয়া উপজেলার বদরখালী গ্রামের আশকার আলী (৪৫)।
বিবরণীতে বলা হয়েছে, ৩৭ হাজার ৮৫৪টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। যার মধ্যে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত বাড়িঘরের সংখ্যা ৫ হাজার ১০৫টি এবং আংশিক বিধ্বস্ত বাড়িঘরের সংখ্যা ৩২ হাজার ৭৪৯ টি।
অন্যদিকে ‘হামুন’র তাণ্ডবে পল্লী বিদ্যুতের ৩৫৪টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে, ২৩টি ট্রান্সফরমার বিকল হয়েছে, ৪৯৬টি স্থানে তার ছিঁড়ে গেছে। ৮০০টি স্থানে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়।
কক্সবাজার পৌরসভা, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া,কক্সবাজার সদর উপজেলা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে। ফলে এসব এলাকায় মোবাইল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল গণি গণমাধ্যমকে বলেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অভ্যন্তরে বেশকিছু গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। শহরের বিভিন্ন সড়কে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব সংস্কার ও ঠিক করতে দু-তিন দিন সময় লেগে যেতে পারে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। মানবিক সহায়তা হিসেবে কক্সবাজার সদর, রামু, ঈদগাঁও, চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া ও মহেশখালীতে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ও ১৪ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।