দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীর মহাখালীর খাজা টাওয়ারের আগুনের ঘটনায় নি‌খোঁজ আকলিমা রহমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে খাজা টাওয়ারের ভবন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। এ নি‌য়ে এই দুর্ঘটনায় তিনজ‌নের মৃত্যু হলো।

নিহত তিনজন হলেন—আকলিমা খাতুন(৩৯), রফিকুল ইসলাম (৬২) এবং হাসনা হেনা (২৭)। মৃত আক‌লিমার মামাতো ভাই আজিম বলেন, খাজা টাওয়ারের রেস অনলাইন লিমিটেডে কাজ করতো আকলিমা। বিকেল ৪টার দিকে আমাদের ফোন দিয়ে আগুনের কথা জানিয়েছিল। সেই সময় বলেছিল সে আটকে পড়েছে। এরপর তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া যায়নি।

রাত ১২টা ৩৫ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা আমার বোনের মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তার মরদেহ নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেয়া হ‌চ্ছে। এছাড়া ভবনের ১৩তলা থেকে রফিকুল ইসলাম নামে একজনকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এর আগে আগুনের আতঙ্কে একটি তার ধরে গ্রিল টপকে নিচে নামার সময় তার ছিঁড়ে পড়ে মারা যান হাসনা হেনা (২৭) নামে এক নারী। খাজা ভবনে ৯তলায় একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন তিনি। তার বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে।

এ‌দি‌কে আগু‌নের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস মোট উদ্ধার ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। এরমধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী। এ দিন বিকেলে বিকেল ৪টা ৫৮ মিনিটে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৫টা ৭ মিনিটে। শুরুতে ভবনটির ১৪ তলায় আগুন লাগলেও পরবর্তীতে আগুন ১৩ তলায়ও ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট যোগ দেয়। সঙ্গে যোগদান করে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা।