বেতন বাড়ানোর দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় বেতন বাড়ানোর দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বিক্ষুব্ধ পোশাক শ্রমিকরা। এ সময় পানি ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন পুলিশ সদস্যরা।
আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জামগড়া থেকে ছয়তলা পর্যন্ত কয়েকটি কারখানার শ্রমিক সড়কে নেমে আসেন। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।
তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের মাসিক মজুরি বৃদ্ধি ও নির্ধারিত সময়ে বেতন পরিশোধের জন্য গত এক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা। গত ২৩ অক্টোবর থেকে আশুলিয়া, সাভার, গাজীপুরসহ বিভিন্ন শিল্প এলাকার ৭০টি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষেভে অংশ নেয়। যতদ্রুত সম্ভব নুন্যতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা বাস্তাবায়নের দাবি তাদের। শিল্প পুলিশ সূত্র বলছে, ৭০টি কারখানার ৬০টি কারখানার শ্রমিকরাই এ আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে। ষষ্ঠ দিনের আন্দোলনে গতকাল রোববার গাজীপুরের কোনাবাড়িতে প্রায় ছয় হাজার শ্রমিক বিক্ষোভ করেন।
পোশাক খাতের আন্দোলন ও বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান গতকাল রোববার নগরীর শ্রম ভবনে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ট্রেড ইউনিয়ন এবং ফেডারেশনের প্রায় ১০০ নেতা সভায় উপস্থিত ছিলেন। পোশাক খাতের শ্রমিকদের জন্য শিগগিরই ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা। সভায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী জানান, মজুরি বোর্ডের সুপারিশ করার জন্য ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় রয়েছে এবং আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কার্যকর হবে।
এর আগে গত শনিবার গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকার বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা মাসিক ২৩ হাজার টাকা বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন। গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ও তেলিচালা এলাকার শ্রমিকরা ২৩ অক্টোবর থেকে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে আসছে। শ্রমিক নেতাদের অভিযোগ, কারখানা মালিকদের প্রতিনিধিদের ন্যূনতম মাসিক মজুরি ১০ হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব পোশাক শ্রমিকদের সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছে। গত ২২ আক্টোবর কারখানার মালিকদের প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান শ্রমিকদের ২৩ হাজার টাকা মজুরির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এর অর্ধেক ১০ হাজার ৪০০ টাকা নুন্যতম মজুরির প্রস্তাব করেন।