আমির হামজা, দ্য রিপোট: জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির(একনেক) সভায় আগামীকাল মঙ্গলবার নতুন এবং সংশোধন ৫০টি প্রকল্পের উপস্থাপন করা হবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) ১ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে যশোর রপ্তানী প্রক্রিয়করণ এলাকা স্থাপন প্রকল্প একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। 

প্রকল্প এলাকা হবে খুলনা বিভাগের যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলা । এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অফসাইট পানি সরবরাহের সুবিধাদি স্থাপন প্রকল্পও উপস্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভায় ঢাকার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। যশোর রপ্তানী প্রক্রিয়করণ এলাকা স্থাপন প্রকল্প মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের বিনিয়োগ আহরণ রপ্তানি আয় বৃদ্বি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে আর্থ সামাজিক উন্নয়নের অবদান রাখা। প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার এবং পরোক্ষভাবে ৩ লাখ মানুষজনের কর্ম সংস্থান হবে যশোর রপ্তানী প্রক্রিয়করণ এলাকা। এর প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় প্রায় ২০০০ মিলিয়ান মার্কিন ডলারের প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ আহরণ এবং বাৎসরিক প্রায় ২৪০০ মিলিয়ান মার্র্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করতে পারে।এর প্রকল্প জুলাই ২০২৩ সাল শুরু হয়ে থেকে জুন ২০২৬ সালে শেষ হবে। মোট ব্যয়ের মধ্যে ৯২৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ঋণ থেকে আসবে বাকি অর্থ বিদেশী বিনিয়োগের ইকুইটি থেকে আসবে।

এদিকে রুপপুর পারানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণকালীন সময়ে প্রয়োজনীয় পানীয় জল সরবরাহকরণ এবং পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইন্ডাষ্টিয়াল এরিয়াতে ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ করা হবে। রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পটি বাংলাদেশের সরকারের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত একটি ফাস্ট ট্রেক প্রকল্প। বাংলাদেশ সরকার এবং রাশান ফেডারেশন সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত ইন্টারগর্ভমেন্টাল চুক্তি এবং ইন্টারগর্ভমেন্টাল ক্রেডিট চুক্তির এবং সরকার পক্ষে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন ও রাশান ফেডারেশনের পক্ষে জয়েন্ট ষ্টক কোম্পানি অটোষ্টরি এক্সপোর্ট এর মধ্যে স্বাক্ষরিত সাধারন চুক্তির আওতায় এর প্রকল্প কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে । ইন্টারগর্ভমেন্টাল চুক্তি (আইজিএ) এর আটিকেল সেভেন এর আইটেম সেভেন এর সাধারণ চুক্তির ক্লজ ৭ দশমিক ২ দশমিক ১১ অনুযায়ী প্রকল্পের পানি সরবরাহ স্থাপনার প্রকল্পের কারিগরি চাহিদা অনুসারে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনকে ক্রেতা হিসেবে বাংলাদেশের অর্থায়নে ও তত্ত্বাবধায়নের বাস্তবায়ন করতে হবে। এর বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার সাথে পরমাণু শক্তি কমিশনের মধ্যে স্বাক্ষরিত স্বারকের আলোকে ঢাকা ওয়াসা ডেলিলেডে ওয়ার্ক হিসেবে প্রকল্পের মূল কার্ষক্রম বাস্তবায়িত হবে । এ বৈদেশিক সাহাষ্য ছাড়া রুপপুরের পানি আর পয়নিষ্কারণ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪১ দশমিক ৭৭ কোটি টাকা। প্রকল্পটি ইতিমেধ্যই জুলাই ২০২৩ সালে চালু হয়েছে ২০২৫ সালে জুন মাসে এসে শেষ হবে।