দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী কমিশনে দাখিল না করায় এনা প্রপার্টিজের মালিক ও সংসদ সদস্য এনামুল হকের বিরুদ্ধে নন-সাবমিশন মামলা করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এনামুল হকের অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ থাকায় তাকে সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারি করে কমিশন। তার সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার সর্বশেষ সময় ছিল গত সোমবার। গত মঙ্গলবার এনামুল হক সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার জন্য দুদকের প্রধান কার্যালয়ে লোক পাঠালে কমিশন তা গ্রহণ করেনি। আইন অনুসারে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী কমিশনে দাখিল না করার দায়ে তার বিরুদ্ধে মামলা হবে।

সূত্র জানায়, দুদকের অনুসন্ধানে এনামুল হকের নামে ২ হাজার ১শ’ ২০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। দুদকের উপ-পরিচালক যতন কুমার রায় এ অনুসন্ধান করেছেন। অনুসন্ধান প্রতিবেদন কমিশনে দাখিলের পর কমিশন তা পর্যালোচনা করে। এরপর গত ২ এপ্রিল এনামুল হক ও তার স্ত্রী তহুরা হকের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠান হয়।

দুদকের উপ-পরিচালক যতন কুমার রায় দ্য রিপোর্টকে জানান, এনামুল হকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। আইন অনুসারে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী জমা না দিলে মামলা হয়।

অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৮-০৯ ও ২০১২-১৩ অর্থ বছরের আয়কর রিটার্নে তিনি সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এনা প্রপার্টিজের নিজস্ব ভবনসহ ১৭টি আবাসন প্রকল্প রয়েছে। যার বর্তমান মূল্য দুই হাজার একশ ২০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ অর্থের বৈধ উৎসের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এনামুল হকের মালিকানাধীন এনা প্রপার্টিজে তার ও তার স্ত্রী তহুরা হকের আনুপাতিক শেয়ার ৪:১।

২০০৮ সালে এনামুল হকের বেতন-ভাতা থেকে আয় ছিল ২০ লাখ টাকা। পাঁচ বছর পরে কৃষি, বাড়ি ও দোকান ভাড়া, ব্যবসা ও পেশা থেকে বছরে তার আয় হয় ৫০ লাখ টাকা। পাঁচ বছর আগে তার ওপর নির্ভরশীলদের ৭ লাখ ৫১ হাজার ৬শ’ টাকা বার্ষিক আয় থাকলেও এবারের হলফনামায় নির্ভরশীলদের কোনো আয়ের উৎস নেই। তার নিজের, স্ত্রীর ও নির্ভরশীলদের মোট ১৬ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার সাধারণ শেয়ার থেকে কোনো আয় নেই।

পাঁচ বছর আগে তার স্ত্রীর থাকা দুই কোটি ৮৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট কোটি ৩৪ লাখ ৬৫ হাজার পাঁচশ টাকায়। যার মধ্যে এবার নিজের হাতে নগদ রয়েছে ১০ লাখ টাকা ও স্ত্রীর হাতে পাঁচ লাখ টাকা। নিজ নামে ব্যাংকে আছে আট লাখ ৫৮ হাজার ৯১ টাকা ও স্ত্রীর নামে এক লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ টাকা।

(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/একে/এএল/এপ্রিল ২, ২০১৪)