সন্ত্রাসী দল বিএনপির সাথে কোনো সংলাপ হবে না: কাদের
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগকে খাদে ফেলতে গিয়ে বিএনপি নিজেই খাদে পড়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৫ নভেম্বর) আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে এসব বলেন কাদের। এসময় তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসী দল বিএনপির সাথে কোনো সংলাপ হবে না।
দলটির সাধারণ সম্পাদক জানান, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে লাগবে ৫০ হাজার টাকা।
অভিযোগ করে কাদের বলেন, ১ কোটি কর্মীকে ঘরছাড়া করা হয়েছিলো। বিএনপির কাছে সরকার সেসময়ে গ্রেপ্তার ৮ হাজার নেতাকর্মীর তালিকা চায়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির নেতারা পালিয়েছেন, তাহলে তাদের এক কোটি নেতাকর্মীরা কোথায় গেল? এই বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে কী অবস্থা করে রেখেছিলো বিএনপি। তারা আমাদের নেতাকর্মীদের দাঁড়াতেই দেয়নি। বিএনপি-জামায়াত যা করছে, তা আমাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তারা পুলিশ ও সাংবাদিকদের উপর হামলা করেছে। বিচারপতির বাসায় হামলা করছে, একজন পুলিশকে তারা হত্যা করেছে, বাসে আগুন দিয়েছে। পুলিশের উপর আক্রমণ, গাড়ির হেলপারকে পুড়িয়ে মারা, পুলিশ হসপিটালে হামলা; মির্জা ফখরুলসহ কেউ কি এর দায় এড়াতে পারবে? একজনও এড়াতে পারবেন না। তাদের নির্দেশেই এই সন্ত্রাস হয়েছে। কানাডার আদালতও সঠিকভাবেই বলেছে, তারা সন্ত্রাসী সংগঠন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্যই বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিএনপির থাবা থেকে রক্ষার জন্য বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা এমনেই ভয়ে আছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির বড় বড় নেতাদের নির্দেশে সন্ত্রাস হয়েছে, তাদের বিচার হতেই হবে। ২৮ অক্টোবর পুলিশ পিটিয়ে হত্যা করেছে। এই অপরাধের ছাড় দেওয়া হবে না। সাংবাদিকদের পিটিয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে। পুলিশ হাসপাতালে হামলা করেছে। এই অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দেওয়া হবে না? তাদের কি ছাড় দেওয়া উচিত?
তিনি বলেন, এই দলটা কি নাটক করতে পারে, কীভাবে নাটক সাজালো! এই নাটকের পরিচালক তারেক রহমান, মিয়া আরেফিকে বাইডেনের ভূয়া উপদেষ্টা বানালো। মিডিয়ার এতো ব্যস্ত, ডাকবার কোনো সুযোগ নেই। সরকারের পতন ঘটানোর জন্য বাইডেনের দোস্ত বানিয়েছে। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া বাড়ি। সারওয়ার্দীর মতো চতুর লোক কীভাবে তাকে নিয়ে আসলো। আন্দোলন নিজেরা করেছে। নিজেরাই নিজেদের আন্দোলন ভণ্ডুল করেছে। আমির খসরু এখন কোথায় গেল, যেসব বড় নেতারা গ্রেপ্তার হয়েছে; তারা কি এর দায় এড়াতে পারে। মির্জা ফখরুলসহ তাদের নির্দেশেই এসব অপরাধ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী থাকুক না বাইরে। দুয়েকজন কথা বলার লোক থাকা দরকার। তবে ইচ্ছে থাকলেও অনেক সময় গ্রেপ্তার করা যায় না। তাদের তো বিভিন্ন সারির নেতারা রয়েছে। তাদের আসল নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তো আছেই। সে স্কাইপিতে বিদেশ থেকে নির্দেশ দিচ্ছে।