দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাসে কাল প্রথমবারের মত টাইমড আউট হয়েছেন অভিজ্ঞ লঙ্কান অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। আর এ নিয়েই মাঠে এবং মাঠের বাইরে ছড়িয়েছে উত্তেজনা। ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে ক্রিকেট বিশ্লেষক এবং সাবেক কিংবদন্তিরা জড়িয়েছেন আলোচনা-সমালোচনায়। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে ক্ষোভ ঝেড়েছেন ম্যাথিউস নিজেও।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৫তম ওভারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটার হিসেবে টাইমড আউট হয়েছেন ম্যাথিউস। কোনো বল খেলার আগেই টাইমড আউট হয়ে গেছেন তিনি। যে হেলমেট নিয়ে নেমেছিলেন, তাতে পুরো নিরাপদ বোধ করেননি তিনি। ফলে আরেকটি হেলমেট আনা হয়, কিন্তু সেটিও উপযুক্ত মনে করেননি এই ব্যাটার। এসবের মাঝে সময় গড়াতে থাকে, ফলে টাইগার অধিনায়ক সাকিব আবেদন করলে আম্পায়াররা আউট ঘোষণা দেন।

এদিকে এমন আউটের পর গতকাল ম্যাচ শেষে সাকিব বলেন, "এটা আইনে আছে। আমি জানি না এটা ঠিক নাকি বেঠিক। মনে হচ্ছিল আমি যুদ্ধে আছি। আমার একটা সিদ্ধান্ত নিতেই হতো। আমাকে দলের জয় নিশ্চিত করতে হতো। সে জন্য যা দরকার তা করব। ঠিক নাকি বেঠিক, এ নিয়ে বিতর্ক হবে। যদি আইনে থাকে, তাহলে আমার এই সুযোগগুলো নিতে আপত্তি নেই।"

তবে সংবাদ সম্মেলনে এসে ম্যাথিউস জানিয়েছেন, এটা বাংলাদেশের জন্য লজ্জার। তিনি বলেন, "আমি ভুল কিছু করিনি। নিজেকে তৈরি করে ক্রিজে যাওয়ার জন্য আমার হাতে ২ মিনিট সময় ছিল এবং সেটা আমি করেছি। আমার (হেলমেট) সরঞ্জামে সমস্যা হয়েছিল। আমি জানি না কাণ্ডজ্ঞান কোথায় হারাল। অবশ্যই সাকিব ও বাংলাদেশের জন্য এটা লজ্জাজনক। যদি ওরা এভাবেই খেলতে চায় এবং এত নিচে নামে, আমার মনে হয় ওদের কোথাও একটা বড়সড় ঝামেলা আছে।"

টাইগারদের কান্ডজ্ঞানের প্রশ্ন তুলে ম্যাথিউস এরপর বলেন, "হেলমেটটা ভেঙে যাওয়ার পরও হাতে ৫ সেকেন্ডের মতো সময় ছিল। আমি বোঝাতে চাইছি, আমি শুধু হেলমেটটা পাল্টাতে চাইছিলাম। তাই এটা একদমই কাণ্ডজ্ঞানের (কমন সেন্স) ব্যাপার। আমি মানকাডিং কিংবা অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড নিয়ে কথা বলছি না। এটা একদমই কাণ্ডজ্ঞানের ব্যাপার, যেটার অনুপস্থিতি খেলাটায় অসম্মান বয়ে এনেছে। এটা ভীষণ লজ্জার।"

প্রমাণ সহ পরে এ নিয়ে তারা বিবৃতি দিবেন জানিয়ে ম্যাথিউস আরও বলেন, "আজকের (গতকাল) দিন পর্যন্ত তার ও বাংলাদেশ দলের জন্য আমার সর্বোচ্চ সম্মানটাই ছিল। আমরা সবাই জেতার জন্যই খেলি এবং সেটা নিয়মের ভেতরে থেকেই জেতার চেষ্টা করি। কিন্তু আজ (গতকাল) আমার ঘটনায় নিয়মই বলছে, আমি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই (ক্রিজে) ছিলাম। আমাদের কাছে ভিডিও আছে। আমরা এ নিয়ে পরে বিবৃতি দেব। ভিডিও থেকে ফুটেজের প্রমাণও আছে। আমি এখানে শুধু কথার কথা বলছি না, প্রমাণ নিয়েই বলছি।"