ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে চোরাগুপ্তা হামলা করছে বিএনপি: কাদের
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিএনপির আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর তারা এখন সহিংসতায় জড়িয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশ-বিদেশে সরকাররবিরোধী বিভিন্ন তৎপরতা চলছে। এর পেছনে বিএনপির হাত রয়েছে। শেখ হাসিনাকে হটানোর ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে চোরাগুপ্তা হামলা করছে বিএনপি।
তিনি বলেন, গার্মেন্টস সেক্টরে আন্দোলনের পেছনেও তাদের ইন্ধন রয়েছে। আর প্রতিকূল স্রোতের সাথে লড়াই করছে আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভায় তিনি এ কথা বলেন। পোশাক শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনে বিএনপির উসকানি আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইন্ধন তো আছেই। এখানে পরিষ্কারভাবে বিএনপি এবং তার দোসরদের কালো হাত বিস্তৃত হয়ে আছে। তারাই উসকানি দিচ্ছে, তারাই গুজব সৃষ্টি করছে। উসকানি আর গুজব সৃষ্টি করে তারা নিরীহ শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করছে।
পোশাকশ্রমিকদের মুজুরি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোথায় ছিল শ্রমিকদের বেতন ৮০০ টাকা! আর সেই বেতন এখন সাড়ে ১২ হাজার টাকা। যেটা ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন দেশের অবস্থাও বুঝতে হবে। নেত্রী গতকাল পরিষ্কার করে সেটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সেখানে বিজিএমই এর ২/১ জন নেতারাও ছিলেন। তারা শুনেছেন। এ ব্যাপারে বেশিরভাগ সমাধান হয়ে গেছে। তবে কোনাবাড়ি ও আশুলিয়া, এই দুইটা জায়গায় কিছু সমস্যা আছে। আমরা মনে করি, আমাদের শ্রমিকরা বর্তমান বাস্তবতার বিষয়গুলো উপলব্ধি করে সমাধানে এগিয়ে আসবেন। প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত মনিটর করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা নিয়ে খুব একটা ষড়যন্ত্র করে, ওই ২৮ তারিখের তো কিছু একটা করবে সে আশা গুড়ে বালি। আমরা আশা করি, শ্রমিকরা নিজেরা নিজেদের ক্ষতি করবে না। শ্রমিকদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের সংস্থান করে যে চাকরি সে চাকরি নিয়ে তারা যদি বিভ্রান্ত হয় তাহলে ক্ষতিটা বাংলাদেশের হবে এবং শ্রমিকদের নিজেদেরও হবে। গুজবকারীদের কিছুই হবে না। গুজবকারীরা ভেজাল করবে, গন্ডগোল পাকাবে এবং নিজেদের পকেট ভারী করবে। তাদের খারাপ মিশন আছে। কাজেই তাদের কথায় কেউ যেন বিভ্রান্ত না হয়।
জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ওবাদুল কাদের বলেন, সামনে নির্বাচন। দ্রুতই তফসিল হয়ে যাবে। এখন দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হাতে আছে। একটি নির্বাচনের প্রস্তুতি, আরেকটি কাজ হচ্ছে বিএনপির নেতৃত্বে আন্দোলনের নামে চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিহত করা এবং নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখা।