দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দেশে আইনের সমতা নাই, বিচার বিভাগীয় হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের)।

শনিবার (১১ নভেম্বর) বনানী কার্যালয়ে কয়েকজন আইনজীবী জাতীয় পার্টিতে যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নিম্ন আদালত ১০০ ভাগ সরকারের অধীনস্ত। দেশে কোনো গণতন্ত্র নাই। বিচার বিভাগ একটি দেশের সভ্যতার প্রতীক, একে দিয়ে সভ্যতার মাপকাঠির বিচার করা হয়। আমরা কতটা সভ্য হয়েছি তা বিচার বিভাগ দিয়ে মূল্যায়ন করা যায়। রাজা আইনের ঊর্ধ্বে থাকেন, রাজতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্র আইনের শাসন দিতে পারে না। একমাত্র গণতন্ত্র আইনের শাসন নিশ্চিত করতে পারে। জিএম কাদের বলেন, আমাদের দেশের যে অবস্থা তা দিয়ে বিচার করতে হবে, আমরা এখন গণতন্ত্রে আছি না কোথায় আছি! নিম্ন আদালত সরকারের নিন্ত্রয়ণে, সরকারের সিদ্ধান্তের বাইরে কোন রায় দেয়ার সুযোগ নেই। সরকার প্রধানের হাতে নিম্ন আদালত সম্পূর্ণ এবং উচ্চ আদালতে ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রিত। আইনের কাঠামোর মাধ্যমেই তাকে সেই ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এই কাঠামোর মধ্যে থেকে আইনের শাসন আশা করা যায় না।

তিনি বলেন, আমরা সিলেকশন চাই না, আমরা নির্বাচন চাই। এখন সিলেকশন হচ্ছে। নির্বাচন পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের নির্দেশ মত তা পরিচালনা করছে। দেশে এখন কোন গণতন্ত্র নাই। অবকাঠামোগত উন্নয়ন আসল উন্নয়ন নয়, মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হলো মূল উন্নয়ন। জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দেয়ার কারণে আজকে দেশ অচল হওয়ার পথে। অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে। মানুষ অভাবে পড়েছে, মানুষ আন্দোলন করছে। উন্নয়নের নামে লুটপাট চলছে। গণতন্ত্রের নামে চরম অত্যাচারী স্বৈরতন্ত্র শাসন চলছে। তিনি বলেন, একটি সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় থাকলে দেশ স্থিতিশীল থাকে কথাটি টোটালি রঙ। এতে আরও অস্থিতিশীলতার বীজ বপন হয়, যা আমরা বীজ বপন করছি। জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশন আয়োজিত যোগদান অনুষ্ঠানে অ্যাডভোকেট সুলতান আহমেদ ও শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে ৩০ জন আইনজীবী জাপায় যোগদান করেন।