গাজীপুর ও সাভারে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, আহত শতাধিক
দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : মজুরি বোর্ড প্রস্তাবিত ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নের দাবিতে গাজীপুরের কোনাবাড়ী ও সাভারের হেমায়েতপুরে শ্রমিকরা ফের বিক্ষোভ করেছে। শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে মিছিল করে ও কয়েকটি কারখানায় ভাঙচুর চালায়। শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধের পর পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশসহ শতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এখনো থেমে থেমে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলছে বলে জানা গেছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
সাভার : মজুরি বোর্ড প্রস্তাবিত ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নের দাবিতে পোশাক শ্রমিক অসন্তোষের জের ধরে সাভারে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ব্যাপক রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশসহ শতাধিক আহত হয়েছেন।
সকালে হেমায়েতপুর এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার মধ্যে শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ ছাড়াও টিয়ারশেল ও বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে। পুলিশ শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে বলে জানা যায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হেমায়েতপুরের স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের শ্রমিকরা ন্যূনতম মজুরির দাবিতে কাজ বন্ধ করে রাস্তায় নেমে আসে। পরে তারা পাশের অবনী নীট ও পর্দা কনজ্যুমারে হামলা চালিয়ে সেখানকার শ্রমিকদের তাদের সঙ্গে যোগ দিতে বাধ্য করে। এরপর শ্রমিকরা হেমায়েতপুর-সিঙ্গাইর সড়কে অবস্থান নিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
গাজীপুর : সকাল থেকে কোনাবাড়ী এলাকার শ্রমিকরা ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা করার দাবিতে কাজে যোগ না দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে তাদের সঙ্গে অন্য কারখানার শ্রমিকরা যোগ দিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার যমুনা কমপ্লেক্স, ফারিয়া নিট কম্পোজিট কারখানার শ্রমিকরা ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা করার দাবিতে কাজে যোগ না দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে তাদের সঙ্গে অন্য কারখানার শ্রমিকরা যোগ দিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
পুলিশ শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে গেলে তাদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
কোনাবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রবিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দিরিপোর্ট২৪কে বলেন, ‘অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে কারখানা এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’
(দিরিপোর্ট২৪/ওএস/এএস/জেএম/নভেম্বর ১৩, ২০১৩)