এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বুক বিল্ডিং পদ্ধতির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের অর্থ উত্তোলনের উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হয়েছে। আইপিও-তে জনসাধারণের কাছ থেকে আবেদন জমা নেওয়া শুরুর ঠিক একদিন আগে গত ১৫ জানুয়ারি তা স্থগিত করেছিল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৮৮৯তম কমিশন বৈঠকে ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিএসসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কমিশন সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
এর আগে, বিএসইসি’র ৮৩৭তম কমিশন সভায় বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের জন্য অনুমোদন পায় এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ। এজন্য চলতি বছরের ১৬ থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত পাবলিক সাবস্ক্রিপশনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর আগে, গত বছরের ১০ থেকে ১৩ অক্টোবর কোম্পানিটির শেয়ারের কাট-অব প্রাইস (প্রান্তসীমা মূল্য) নির্ধারণে বিডিং অনুষ্ঠিত হয়। বিডিংয়ে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা (ইআই) কোম্পানিটির শেয়ারের প্রান্তসীমা মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করেছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রান্তসীমা মূল্যের চেয়ে ৩০ শতাংশ বা ২০ টাকা এ দুয়ের মধ্যে যেটি কম হবে, সে মূল্যে শেয়ার ইস্যু করা হবে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ায় জনসাধারণের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রিতে আর কোনও বাধা রইল না।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজম্যান্ট লিমিটেড। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটি কোনও প্রকার ডিভিডেন্ড ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না।
আইপিও’র মাধ্যমে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ বাজার থেকে ৯৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। আর এই টাকার বড় অংশ ব্যয় করা হবে কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণে।