ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের বাংলাদেশ উপকূলে আসার শঙ্কা নেই
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের যে গতিমুখ, এতে এটি বাংলাদেশ উপকূলে আসার শঙ্কা নেই বললেই চলে। এটি ভারতের অন্ধ্র উপকূলে আঘাত হানতে পারে মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর)।
রোববার (০৩ ডিসেম্বর) এমন তথ্য জানিয়েছেন ভারত ও বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদরা।
ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞানী এসপি সিং জানিয়েছেন, সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) বিকেল নাগাদ ঝড়টি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। এরপর মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে অন্ধ্র উপকূলে আঘাত হানতে পারে। সেই সময় ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের একটানা গতিবেগ ওঠে যেতে পারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত। দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলের নেল্লোর এবং মাচিলিপাটনামের মাঝ দিয়ে মিগজাউম স্থলভাগে ওঠে আসবে।
এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, এটি বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার কোনো শঙ্কা নেই। মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে এটি আঘাত হানতে পারে।
ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ওড়িষ্যা, অন্ধ্র উপকূলে ঝড়ের প্রভাবে দেড় মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এছাড়া ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। ঝড়ে ঘর-বাড়ি, স্থাপনা, গাছ-পালা, পশু-পাখি, বিদ্যুতের লাইনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রেখেছে। সাগর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় সব সমুদ্রবন্দরে দুই নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করেছে। এছাড়া মাছ ধরা ট্রলার ও সব ধরনের নৌকাগুলোর গভীর সাগরে বিচরণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
মিগজাউম নামটি মিয়ানমারের দেওয়া। গত নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ সৃষ্টি হয়েছিল। ১৭ নভেম্বর এটি পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানে। ‘মিধিলি’র শক্তি খুব বেশি না থাকলেও নয়জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।