নির্বাচনে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাংলাদেশের ২০২৪ সালের সংসদীয় নির্বাচনে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করতে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরার প্রতি আবেদন জানিয়েছেন নিউ হোপ গ্লোবালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন। সোমবার গুতেরার কাছে এ নিয়ে তিনি একটি চিঠি লিখেছেন। এতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের আসন্ন সংসদীয় নির্বাচনের একটি অতি জরুরি বিষয় আপনার নজরে আনতে আমি এই চিঠি লিখছি। এই অঞ্চলের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি এবং মানবাধিকার নিয়ে গভীর উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে আমি জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যাতে তারা অবিলম্বে এখানে হস্তক্ষেপ করে এবং বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায্য এবং বিশ্বাসযোগ্য হবে কিনা তা নিয়ে গুরুতর সন্দেহের জন্ম দিয়েছে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সহ দেশের সকল প্রধান দলকে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া অপরিহার্য। এটি নিশ্চিতের জন্য আমি অবিলম্বে জাতিসংঘের কাছে অনুরোধ করছি যাতে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন করে নির্বাচন ঘোষণায় চাপ দেয়া হয়।
নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগের পাশাপাশি, দেশের অভ্যন্তরে চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘন মোকাবেলা করার জন্য একটি শক্তিশালী মেকানিজম প্রতিষ্ঠার জন্য চাপ দেয়া প্রয়োজন। মানবাধিকার সুরক্ষা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনো জাতির সার্বিক উন্নয়নের জন্য একটি সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অপরিহার্য। তাই আমি অবিলম্বে নিম্নোক্ত বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য
জাতিসংঘের কাছে আন্তরিকভাবে আবেদন করছি:
১। বিএনপি সহ সকল প্রধান দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য ২০২৪ সালের সংসদীয় নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা।
২।একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করা, যা নিরপেক্ষ হবে এবং সকল রাজনৈতিক দলের জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করবে।৩। এমন সব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যাতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত হয় এবং এই নির্বাচন প্রক্রিয়া যে কোনও ধরণের অযাচিত প্রভাব বা কারসাজি থেকে মুক্ত থাকে।
৩। এমন সব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যাতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত হয় এবং এই নির্বাচন প্রক্রিয়া যে কোনও ধরণের অযাচিত প্রভাব বা কারসাজি থেকে মুক্ত থাকে।
৪। চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘন নিরীক্ষণ এবং মোকাবেলা করার জন্য মানবাধিকার বিষয়ক নতুন মেকানিজম চালু করতে হবে, যাতে সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত থাকে।
চিঠির শেষে গুতেরার উদ্দেশ্যে মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে আপনার হস্তক্ষেপ বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় এবং দেশটির জনগণের জন্য স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিতে অবদান রাখবে
(দ্য রিপোর্ট/ মাহা/ পাঁচ ডিসেম্বর দুই হাজার তেইশ)