১২০ টাকার পেঁয়াজ একদিনে ২০০ হওয়া যৌক্তিক নয়: বাণিজ্য সচিব
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আকস্মিকভাবে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি বলেছেন, ১২০ টাকার পেঁয়াজ একদিনের ব্যবধানে ২০০ টাকা হয়ে যায়, এটা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর শের-ই বাংলা নগরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনের মাল্টিপারপাস হলে ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
গত ৮ ডিসেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পণ্যটির দাম হু হু করে বেড়ে যায়। বৃহস্পতিবারও (৭ ডিসেম্বর) যে পেঁয়াজের কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকা রাখা হয়েছে, গত শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সেটা বিক্রি হতে দেখা গেছে ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। লাগামহীন এই দাম বৃদ্ধির জন্য অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে দুষছেন ক্রেতারা।
এর প্রসঙ্গ টেনে বাণিজ্য সচিব অভিযোগ তোলেন, ব্যবসায়ীরা দায়িত্বশীল আচরণ করছেন না।
তিনি বলেন, আগের দিন ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে, আর পরদিনই পেঁয়াজের দাম ৭০-৮০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের বুঝতে হবে, এদেশের জনগণের জন্যই তাদের ব্যবসা। অবশ্যই তারা লাভ করবেন, তাই বলে আগের দিন ছিল ১২০ টাকা, একদিনের মধ্যে ২০০ টাকা হয়ে যায়, এটা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাজার পরিস্থিতি মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে নিত্যপণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়। রাজস্ব কমলেও এসব উদ্যোগ আমাদের নিতে হয়। এর সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যাপারও যুক্ত থাকে। একইভাবে দেশি শিল্পকে সহায়তা দেওয়ার জন্য কর মওকুফ করা হয়।
এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা রাহমাতুল বলেন, অভ্যন্তরীণ মোট উৎপাদন ও কর অনুপাত খুবই কম। প্রতিবেশী ভারতেও বাংলাদেশের চেয়ে কর অনুপাত বেশি। কারণ তাদের মোট করের বড় অংশ দেয় বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীগুলো। আমরাও বড় শিল্পগোষ্ঠীর কাছে সেই প্রত্যাশা করি।
অর্থ সচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার বলেন, অন্য দেশে ১০০ টাকা ভ্যাট আদায়ে ৫০ পয়সা থেকে দেড় টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। বাংলাদেশে সেখানে খরচ হয় মাত্র ১৯ পয়সা। রাজস্ব বৃদ্ধি করতে দক্ষ জনবল, অটোম্যাশনসহ যে কোনো সংস্কার কার্যক্রমে আমরাও খরচ বাড়াবো। সরকার এ টাকা দিতে প্রস্তুত।
দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ইএফডি বা ভ্যাট আদায়ে স্বয়ংক্রিয় মেশিন বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন খাতে না বসিয়ে একেকটি খাতে বসানো শেষ করে আরেকটি ক্লাস্টারে বসানো যায়। এর মাধ্যমে ভ্যাট আদায় বাড়বে।